আসন্ন বাজেট নিয়ে প্রস্তাব তুলে ধরায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তাঁতী লীগের এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতিচর্চার মাঝেও আসন্ন বাজেট নিয়ে ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ। তবে এ ভাবনার মাঝেও সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোনো একটি বাক্যও খুঁজে পেলাম না বিএনপি নেতাদের থেকে।
‘বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক। তারা তাদের সেই সংকীর্ণতার বৃত্ত থেকে আজও বের হতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, গত বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারকে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে। সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য তথা উৎপাদনব্যবস্থাকেও সচল এবং গতিশীল রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের চাকা সচল রাখার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সঙ্গে চালিয়েছে। এ সময়ে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২২২৭ ডলার।
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, করোনার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, টিকা সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মুখে কোনো প্রশংসা কিংবা বাস্তব অর্জনের কথা বলে না।
‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা বলেছেন। প্রকৃত পক্ষে তার আগেই তাদের আত্মিক সংকোচন ঘটে গেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেছে, যা করোনাকালে জনমানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
‘করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে’- যোগ করেন কাদের।
এ সময় তাঁতী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাঁতীদের সঙ্গে যাদের সমন্বয়-সম্পর্ক নেই, তাদের তাঁতী লীগ করা যাবে না। তাঁতশিল্পের বিকাশে তাঁতী লীগকে কাজ করতে হবে। বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতী লীগের দোকান না খুলতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’