বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে প্রজন্ম মূর্খ হবে’

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ২০:২৭

জি এম কাদের বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আগামী প্রজন্ম হবে জ্ঞানহীন মূর্খ।’

দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আগামী প্রজন্ম জ্ঞানহীন মূর্খ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আগামী প্রজন্ম হবে জ্ঞানহীন মূর্খ। এতে করে আমাদের সমাজের মৌলিক ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খোলার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ২৪ মে। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে সরকারকে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ।

১৭ মে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ভাবছে সরকার।

বিবৃতিতে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘মহামারির কারণে শিক্ষার্থীরা এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে। ইতিমধ্যে কয়েকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে।’

জি এম কাদের বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সবাইকে টিকা দেয়ার পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। বর্তমানে টিকা সংগ্রহের অনিশ্চয়তার কারণে স্বাভাবিকভাবে টিকাদান শেষ হতে হয়তো আরও কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে একটি প্রজন্মকে মূর্খ হতে দেয়া যায় না। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর