করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার তিন সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জ্বর দেখা দিয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার।
শুক্রবার গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে বাজেট ভাবনা প্রকাশের সময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার জ্বরের কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে মুক্ত হলেও হঠাৎ করেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া। গতকাল রাত থেকে ওনার জ্বর দেখা দিয়েছে, যেটা চিকিৎসকরা ইনভেস্টিগেট করছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল, তা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসবে।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকে চিকিৎসা নিলেও ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হন ৯ মে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
করোনা থেকে সেরে উঠলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে আবেদন করে পরিবার। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয় বিএনপি ও খালেদার স্বজনেরা। কিন্তু সরকার থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, আইন অনুযায়ী খালেদাকে বিদেশ যেতে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর বিএনপি নেত্রী কারাগারে যান। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।