দেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, তার ভিত বিএনপিই রচনা করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বর্তমান সরকারের আমলে কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেটি না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে আজকের বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার বপনকৃত উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সফলতার ফসল।’
বিএনপির বাজেট ভাবনা তুলে ধরতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রাথমিক সোপানে উঠে বাংলাদেশ। আজকের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডের ভিত্তি গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসী আয় জিয়ারই অবদান।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
‘এরপর ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠনের পর থেকে অর্থনীতিতে নতুন গতিপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতি, ভ্যাট প্রবর্তনসহ তিনি যে নানামুখী সংস্কারমূলক কাজ করেছেন, আজকের অর্থনীতি তো তার উপরই দাঁড়িয়ে আছে’-বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির শাসনামলের শেষ বছরের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ কর্তৃক সৃষ্ট নজিরবিহীন বৈরী পরিবেশ সত্ত্বেও বিএনপি সরকারের সময় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বশেষ ৭.০৬% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকেও তখন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিরাট ব্যবধানও দেখতে পাচ্ছেন ফখরুল। অভিযোগ, চরম গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাব এবং মতপ্রকাশের অধিকার এবং মৌলিক অধিকারসহ উলঙ্গ মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে।
উন্নয়নকে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার পরামর্শও দেন ফখরুল। বলেন, ‘সুশাসন, দুর্নীতি, অর্থের অপচয়ের বিষয়গুলোও মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয় বিবেচনায় নেয়া হলেই কেবল সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আর এতে দুর্নীতি কমবে, সম্পদের ও অর্থেও অপচয় কমবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের অর্থনীতি তখনই সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হয়ে ওঠে যখন সেখানে ‘সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক সরকার’ জনগণের অবাধ নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়।’