বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া নিয়ে কাদেরের প্রশ্ন

  •    
  • ২০ মে, ২০২১ ২০:৩১

‘কিন্তু অভিজ্ঞ সাংবাদিক (রোজিনা) তথ্য সংগ্রহে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন তা সঠিক পদ্ধতি কি না তা ভেবে দেখার বিষয়। গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক একপর্যায়ে নিজের ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দেয়ার কথাও বলেছেন। চৌর্যবৃত্তি আর সাংবাদিকতাকে আমরা কী এক করে ফেলতে পারি?’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম তথ্য সংগ্রহে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন তা সঠিক কি না তা ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ সরকারি বাসভবনে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাংবাদিকরা পেশাগত কারণে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী অপ্রকাশযোগ্য তথ্য ছাড়া অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।

‘কিন্তু অভিজ্ঞ সাংবাদিক (রোজিনা) তথ্য সংগ্রহে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন তা সঠিক পদ্ধতি কি না তা ভেবে দেখার বিষয়। গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক একপর্যায়ে নিজের ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দেয়ার কথাও বলেছেন। চৌর্যবৃত্তি আর সাংবাদিকতাকে আমরা কি এক করে ফেলতে পারি?’

সচিবালয়ে সোমবার এক কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পরদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় রোজিনাকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে এই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক মোহাম্মদ জসীম। বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানির পর আগামী রোববার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানায় আদালত।

রোজিনাকে রাখা হয়েছে কাশিমপুর কারাগারে।

শুরু থেকেই রোজিনাকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো।

ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুই করবে না সরকার। শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিকবান্ধব সরকার। গণমাধ্যমের যে কোন বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। সাংবাদিকদের সুখে দুখে এবং গঠনমূলক সাংবাদিকতার পথ অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আছেন।’

এ সময় সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনের সমালোচনাও করেন তিনি। কাদের বলেন, ‘তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বের হওয়ার আগেই তার পক্ষে বা বিপক্ষে আন্দোলন কতটা যৌক্তিক, সেটাও সাংবাদিক বন্ধুদের ভেবে দেখতে হবে। একজন অন্যায় করলে ঢালাওভাবে সবাইতো সেজন্য দায়ি নন।

‘সচিবালয়ে প্রতিদিন সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু কেউ এভাবে লুকিয়ে ফাইলের ছবি তোলেন না বা নথি নিয়ে যায় না। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক নিজেও ভুল স্বীকার করছেন। আত্মস্বীকৃত একজনের ভুলের জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের এমন অবস্থান গ্রহণ কেন?’

তিনি বলেন, ‘কেউই আইনের উর্ধ্বে নন। আইন সবার জন্য সমান। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।

‘ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কাজে সরকার কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবে না।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি কাল্পনিক অভিযোগ আনলেও প্রকৃতপক্ষে সরকার দমন পীড়নে বিশ্বাসী নয়। বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন। বিএনপির কোন নেতাকে কোন প্রকার হেনস্তা বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

‘শেখ হাসিনা সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায় এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা ও জনমতকে সম্মান করে। অপরদিকে বিএনপি জনমতকে উপেক্ষা করে বলেই নির্বাচনে গিয়ে দুপুরের আগেই সরে দাঁড়ায় এমনকি নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে জনরায়কে অপমানিত করে। অথচ তারাই এখন জবাবদিহিতার সবক দিচ্ছে।’

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের ইস্যুতে কথা বলছেন অথচ তাদের সময় সাংবাদিক শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ বেশকিছু সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে করা হয়েছে নির্যাতন, তা কি ভুলে গেছেন ফখরুল সাহেবরা?’

এ বিভাগের আরো খবর