সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ পরামর্শ দেন।
ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও ফিলিস্তিনের জনগণের নায্য অধিকারের প্রতি সংহতি জানাতে ওই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গত সোমবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হস্তান্তর ও মধ্যরাতে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মঙ্গলবার সকালে রোজিনা ইসলামকে আদালতে নেয়া হলে তার জামিন নাকচ হয়ে যায়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যে আমলারা রোজিনা ইসলামের গলা টিপে ধরেছিলেন, তাদের বুদ্ধিতে আপনি ঈদের সময় যানবাহন বন্ধ করেছেন। মানুষ ঈদের সময় বাড়িতে গিয়ে তাদের ছেলে-মেয়ে ও বাবা-মাকে দেখতে চেয়েছিল। তাদের বঞ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি মানবতার বন্ধু হন, আপনি যদি আপনার পিতার সমর্থনকারী হন, তাহলে তাকে (রোজিনা ইসলাম) একটি স্বাধীনতা পুরস্কার দেন। স্বাধীনতা পুরস্কার জনগণের জন্য। তিনি তো জনগণের অধিকারের কথাই বলেছেন।’
অর্থ ও সামরিক শক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনির জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক শক্তি দিয়ে তাদের সাহায্য করব।’
এ সময় শুক্রবার জুম্মার পড়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিয়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেন তিনি।
সমাবেশে বর্তমান সরকারকে ‘ফোর টুয়েন্টি’ সরকার বলে আখ্যায়িত করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
‘একটা ফোর টুয়েন্টি সরকারের কাছে ভালো কী চান? সরকার প্রতি মুহূর্তে ক্ষমতা হারানোর ভয় করে। না হলে রোজিনার ওপর অত্যাচার করার কারণ কী? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে কত বড় দুর্নীতিবাজ তা কে না জানে। তাদের নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে একটাও সরকার চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।’
এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্য নেতারা।