সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতায় টিকা কূটনীতিতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, বিপুল অর্থ মুনাফা করার জন্য টিকা আমদানি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে মঙ্গলবার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতায় টিকা কূটনীতিতে ব্যর্থ হয়েছে দেশ। কোটি কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্যে টিকা আমদানি হয়েছে। এ কারণেই টিকা পেতে বিকল্প উৎস রাখা হয়নি।
তিন পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু টিকার নিশ্চয়তা মেলেনি।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টিকা পেয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। তবে যত টিকা পাওয়ার কথা ছিল, ততগুলো আসেনি।
৩ কোটি ৪০ লাখ কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত পুরোপুরি। টিকার অভাবে বিভিন্ন জেলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি।
কাদের বলেন, দেশের ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা নিয়ে উদ্বেগ কমছে না। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা আবশ্যক। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ আশ্বস্ত করতে পারছে না। করোনা টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দুর্ভাগ্যজনক।
বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান একহাত নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের।
জি এম কাদের বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রতিদিন করোনার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউয়ের ভয় দেখাচ্ছেন। এ জন্য জনগণকে দায়ী করে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতির কথা স্পষ্ট করতে পারছে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে হবে, জনগণ উদ্বিগ্ন।