এই সরকারের আমলে বিএনপি আমলের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তির কোনো নজির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে নিজের বাসভবনে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দেয়া শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঈদ বলতে আমরা সব সময় যেটা বুঝি, সেই ঈদ গত এক যুগ ধরে আমাদের নেই। কারণ মিথ্যা মামলা দেয়া এবং নেতা-কর্মীদের গুম করা হয়েছে। এমন একটা অবস্থা, যেন এই দেশে শুধু আমাদের নেতা-কর্মীরাই আসামি।’
এই মন্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাকি গত এক যুগ ধরে ঈদ নেই এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে ও মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। আপনারা কি ভুলে গেছেন ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর যে নির্মম নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছিলেন?
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আমলের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কোনো নজির স্থাপন করেনি শেখ হাসিনা সরকার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আমলে মা-বাবা মারা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি, দাফনকাফনের শেষ সুযোগটুকুও দেয়া হয়নি। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজ পড়া অবস্থায়ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
‘কতটা নিষ্ঠুর এবং অমানবিক হলে তারা এমনটা করতে পেরেছে। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এলাকায় বাড়িঘরে যেতে পারেননি। সেই ইতিহাস বেশি দিন আগের নয়।’
এ সময় করোনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও ঈদের পরে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এমতাবস্থায় জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
ব্রিফিংয়ে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচিও ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘১৬ ও ১৭ মে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটি তথ্য ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনের অনুষ্ঠান করবে। ১৬ মে বেলা ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
‘১৭ মে বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা। ওই দিন বেলা ৩টায় মহানগর নাট্য মঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান।’
এ ছাড়াও সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে বলে জানান তিনি।