বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খালেদার স্বাস্থ্যেই আটকে আছে বিএনপির রাজনীতি’

  •    
  • ১২ মে, ২০২১ ২১:৫১

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিটা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই সীমাবদ্ধ, এর বাইরে তারা যেতে পারছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে না, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ইস্যুতেই দলটির রাজনীতি আটকে আছে বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিএনপি এখন দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিটা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই সীমাবদ্ধ, এর বাইরে তারা যেতে পারছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে না, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। গত ১১ এপ্রিল তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর শুরুতে গুলশানে বাসভবন ফিরোজাতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে ২৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

৩ মে খালেদা জিয়ার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে খালেদা করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন।

পরে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে আসেন শামীম ইস্কান্দার। চিঠিটি পর্যালোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনো বিধি নেই।

উল্টোটা বলছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছে না।

খোঁড়া যুক্তিতে সরকার খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসার’ জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে (খালেদা জিয়াকে) বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা তৎপর হয়ে ওঠেন এবং সরকার আইনগত ব্যাখ্যা দিয়ে যখন বলল যে, তাকে বিদেশ পাঠানো সুযোগ নেই, তখন তারা যেভাবে সমালোচনা করছেন, হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, তা শুনে অনেকে মুচকি হেসেছে।’

রাজনীতিকে খালেদার স্বাস্থ্যে আটকে না রেখে, জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে আপনাদের রাজনীতিটা শুধুমাত্র বেগম জিয়ার মামলা, শাস্তি, তার হাঁটু এবং কোমরের ব্যথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, এই জন্য আপনারা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছেন।’

বিপরীতে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের জন্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের পক্ষ থেকে খাদ্য এবং ঈদ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপিসহ তার মিত্রদের রাজনীতি হচ্ছে সরকারের কাজের সমালোচনা করা, ভুল না হলেও সমালোচনা করা। এই অহেতুক সমালোচনা করা উচিত নয়।’

সাংবাদিকদের বিমা সুবিধা থাকা দরকার

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দেয়া ১০ কোটি টাকার চেক ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তার কথায় উঠে আসে সাংবাদিকদের দুঃখ দুর্দশার জীবন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতনভাতা, চাকরি একটি শৃঙ্খলায় আনা দরকার, যাতে করে যে কেউ যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত না হয়।’

সংবাদমাধ্যম প্রকাশের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের বেতনভাতা না দেয়ার চর্চা কোনোভাবেই ঠিক নয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই পত্রিকা বের করেন পাঁচশ কপি, ঘোষণা করেন পাঁচ হাজার বা পঞ্চাশ হাজার। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। আমি শুরু থেকেই চেষ্টা করছি, শৃঙ্খলা আনতে গিয়ে বহু বাধার সম্মুখীন আমি হয়েছি।

‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে কার প্রচার সংখ্যা কত সেটা আমরা নির্ধারণ করেছি। এই প্রচার সংখ্যাকে বাস্তবসম্মত করার জন্য আমি আপনাদের সহায়তা চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার চেয়েও বেশি মেধাবী অনেক সাংবাদিক, যারা ভালো চাকরি করেন, সমাজের জন্য অনেক অবদান রাখেন, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে না এটা হতে পারে না।’

পত্রিকায় সাংবাদিকদের জন্য বিমা সুবিধা থাকা দরকার জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণে কখনও পত্রিকা থেকে বেতন না পেলেও যেন ইন্স্যুরেন্স থেকে পায়। যে সমস্ত হাউজ থেকে সাংবাদিকদের ঠিকভাবে বেতনভাতা দেয়া হয় না, কিংবা চাকরিচ্যুত করা হয়, সেসব হাউজ সরকারের যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পায়, সেগুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব খাজা মিয়া।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

অনুষ্ঠানে ২২১ সাংবাদিকের মাঝে চেক বিতরণ করেন অতিথিরা।

এ বিভাগের আরো খবর