গাজীপুরের টঙ্গীতে হা-মীম গ্রুপের পোশাক কারখানার সামনে বিক্ষোভে শ্রমিকদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়েছে প্রগতিশীল আট ছাত্র সংগঠন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনগুলোর নেতারা।
টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের কারখানার সামনে সোমবার দুপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলি চালায় পুলিশ। এতে অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হন।
শ্রমিকদের ছোড়া ইট-পাটকেলে আহত হন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসপিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ আট সংগঠন।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, টঙ্গীতে শ্রমিকের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। শ্রমিকের অধিকার রক্ষা না করে সরকার পুলিশকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে শ্রমিকের জীবন কেড়ে নেয়ার বর্বরতায় লিপ্ত হয়েছে।
সর্বত্র রাজনৈতিক সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে সুজন বলেন, শ্রমিক, কৃষক ও ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি, হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে কোনোকালেই কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার টিকেনি। গুন্ডাতন্ত্রনির্ভর এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বত্র রাজনৈতিক সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, যাদের শ্রমের ওপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির গতি সঞ্চারিত হচ্ছে, তাদের বুকে গুলি চালানো হচ্ছে। সেই শ্রমিকদের মজুরি দেয়া হচ্ছে না। অথচ কারখানার মালিকদের একের পর এক ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
হামলার বিচার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করে রাশেদ বলেন, টঙ্গীতে হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকের ওপর গুলিবর্ষণ, বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যাসহ সারা দেশে সংঘটিত সব হত্যা, হামলা, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার ব্যয়ভার কারখানা কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহসভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতা রেদওয়ানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।