বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দিচ্ছে সরকার: বিএনপি

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১৪:৫২

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘…অত্যন্ত উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারের কর্মকর্তাই বলব, তার দুই সহদোর ভাই (ফৌজধারী) আইনের এই ৪০১ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরকে মাফ করে দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। কেন খালেদা জিয়ার বিষয়ে খোঁড়া যুক্তি দিচ্ছেন। সোজা বলে দেন যে আমরা তাকে বিদেশে যেতে অনুমতি দেবো না।’

খোঁড়া যুক্তিতে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসার’ জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘সরকার বলছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতির এমন নজির নেই। কিন্তু ১৯৭৯ সালে আমাদের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আব্দুর রব জেলে ছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান দায়িত্বে ছিলেন। পরে তাকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে দেশে এসেছিলেন।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাজা মাফ করে দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এমন আরও অনেক আছে, আমি নাম বলব না। অত্যন্ত উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারের কর্মকর্তাই বলব, তার দুই সহোদর (ফৌজধারি) আইনের এই ৪০১ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের মাফ করে দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। কেন খালেদা জিয়ার বিষয়ে খোঁড়া যুক্তি দিচ্ছেন। সোজা বলে দেন যে আমরা তাকে বিদেশে যেতে অনুমতি দেব না।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। গত ১১ এপ্রিল তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর শুরুতে গুলশানে বাসভবন ফিরোজাতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে ২৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

৩ মে খালেদা জিয়ার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে খালেদা করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন।

পরে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে আসেন শামীম এস্কান্দর। চিঠিটি পর্যালোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনো বিধি নেই।

উল্টোটা বলছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানও এমন ছিলেন না। তিনিও তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিকিৎসার সুবিধা দিয়েছেন, ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবেও সাহায্য করেছেন। কিন্তু আপনাদের সেই যোগ্যতা নেই। থাকলে অনেক আগেই খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দিতেন।’

এ বিভাগের আরো খবর