বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে বিদেশ পাঠাতে সরকারে চোখ বিএনপির

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ১৪:৩৭

ফখরুল বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরে। কারণ সরকারের সিদ্ধান্তের আগে কোনেটাতেই কোনো প্রসিড করা সম্ভব নয়।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোন দেশে পাঠানো হবে, সে বিষয়ে সরকারি ঘোষণা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে তার দল।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরে। কারণ সরকারের সিদ্ধান্তের আগে কোনেটাতেই কোনো প্রসিড করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির কোনো সংকট নেই। আপনারা জানেন খালেদা জিয়ার বিষয়টি এখনও উদ্বেগের। যাদের হার্টে প্রবলেম এবং ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ঝুঁকি একটু বেশি।

‘কিছুক্ষণ আগে আমি হাসপাতাল থেকে খবর নিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে তার। তার যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল সেই সমস্যাগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে আসছে। কিন্তু এখনও তার মূল সমস্যা যেগুলো আছে।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন তিনি অনেকগুলো অসুখে ভুগছেন দীর্ঘকাল থেকে এবং দীর্ঘকাল কারাভোগ করার কারণে উনার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সেগুলো বেড়েছে।

‘এগুলো বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য মেডিকেল বোর্ড তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সার্বক্ষণিক তাকে লক্ষ রাখছেন। তার চিকিৎসা করছেন। তারা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে এই চিকিৎসা করছেন।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে যে... উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো সিসিইউ ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব না। সিসিইউর যা যা দরকার সবকিছুই তারা করছেন। তারা কিছুক্ষণ আগে আমাকে যেটা বলেছেন, শি হ্যাজ সাইন অফ প্রোগ্রেস (তার মধ্যে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে)। এখন আল্লাহ তায়ালা তাকে যদি পরিপূর্ণভাবে সুস্থ করেন।’

বক্তব্যে সরকারদলীয় কিছু নেতার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, কয়েকজন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা খালেদার বিষয়ে অশোভনীয় কথা বলছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

তিনি বলেন, হিটলার, সাদ্দাম, আইয়ুব খান, এরশাদ বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। এই ক্ষমতার ব্যক্তিরা সেটি ভুলে গেছে। কারণ তারা বন্দুকের নলে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে সরকারের কাছে করা আবেদনে অভিমত দিয়ে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

কী অভিমত দেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর। সেদিন রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

পরের দিন গুলশানে নিজ বাড়িতে আইনমন্ত্রী জানান, ওই দিনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে না। তবে আবেদনটি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া বিএনপি নেত্রীকে ২০২০ সালের মার্চে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয় দণ্ড স্থগিত করে। তাকে মুক্ত করতে বিএনপির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আছে আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দণ্ড স্থগিত করার ব্যবস্থা করেন।

প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হলেও পরে দুই দফায় আরও ছয় মাস করে সময় বাড়ানো হয়।

মুক্তির ক্ষেত্রে দুটি শর্তের কথা জানানো হয় সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে। শর্তে বলা হয়, বিএনপি নেত্রীকে চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই। আর তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

যদিও প্রকাশিত শর্তের বাইরে আরও শর্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ মুক্তির পর এক বছরেও বিএনপি নেত্রী রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি; কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেননি।

এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল বিএনপি নেত্রীর করোনা ধরা পড়ে। আর তিনি নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে ২৭ এপ্রিল ভর্তি হন হাসপাতালে।

শনিবার রাতে খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হন। তবে ৭৬ বছর বয়সী নেত্রীর আরও কিছু রোগ রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাতজ্বর, হাঁটুর ব্যথা, চোখের সমস্যা ও ডায়াবেটিস।

এ বিভাগের আরো খবর