মুন্সিগঞ্জে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ওয়াদা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন শেষে শুক্রবার দুপুরে তিনি এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে এসে দেখে গেলাম। আমি আপনাদের সাথে ওয়াদা করছি, যারা এই সহিংসতার সাথে জড়িত, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
হেফাজতের কর্মকাণ্ড দেশের আলেমরা সমর্থন করেন না বলেও উল্লেখ করেন কামাল। বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম কখনও সহিংসতার কথা বলে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা হেফাজতের নামে দুষ্কর্ম করে, নিষ্ঠুরতা করে, অত্যাচার করে, এরা মানুষ না, এরা অমানুষ।
‘হেফাজতের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের কোনো আলেম সমর্থন করেন না। আমি নিজে অনেক আলেমের সাথে কথা বলেছি, তারা সবাই এ ধরনের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।’
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে এ ঘটনার নাটের গুরু হেফাজত নেতা নূর হোসেন নূরানী ও মধুপুরের পীর সাহেব হুজুরের দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট, তারা সবাই পর্যায়ক্রমিকভাবে আইনের আওতায় আসবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, অতিরিক্তি ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে সিরাজদিখানের রাজনগর ইউনিয়নে হামলা করেন হেফাজতকর্মীরা। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আলমগীর কবিরের বাড়িসহ ১০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।