সরকার মাফিয়াদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির শনিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা মাফিয়া সরকার তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই মাফিয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার মাফিয়াদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। বাংলাদেশের পরিণতি যে এমন হবে কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫০ বছর পরেও এ রকম একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখতে হচ্ছে।
‘এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হতে হবে। অবাধ নির্বাচন করার জন্য নিরপেক্ষ সরকার দরকার। এ জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা ক্ষমতা দখল করে আছে, তাদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কোটি শ্রমিকের বহুমুখী কল্যাণে এই অনির্বাচিত সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও তাদের সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার।
‘করোনা সংক্রমণের ফলে লকডাউনে চাকরিচ্যুতি, বেতন না পাওয়া, শ্রমিকদের মানবেতর জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অবিলম্বে সব শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ, কর্মের নিশ্চয়তা ও লকডাউনে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, খাদ্যসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির প্রস্তাবিত প্রণোদনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের কমপক্ষে তিন মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা হারে এককালীন অনুদান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘ভারতের একতরফাভাবে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এটি কোনোমতেই বন্ধুসুলভ আচরণ হতে পারে না। শুধু ভারতের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস থেকে অক্সিজেনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দেশে অক্সিজেন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরের সালথা থানায় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় নিরীহ গ্রামবাসী হোসেন মাতুব্বর ডিবির হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে মারা যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার চিকিৎসক টিম অবহিত করবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।