বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার উৎখাতের বক্তৃতা দাতারা কোথায়: শেখ হাসিনা

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১৩:৪৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা নিজেদের বিরোধী দল বা প্রতিদিন সরকার উৎখাতের জন্য বক্তৃতা বিবৃতি আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে, দুর্যোগে মানুষের পাশে কোথায় তারা? কয়টা দুর্গত মানুষের মুখে তারা খাবার তুলে দিয়েছে? কয়টা মানুষের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে? কেউ নেই।’

সরকার উৎখাত চেয়ে প্রতিদিন বক্তৃতা-বিবৃতি দাতারা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কোথায় আছেন, কতজন দুর্গতের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে শক্তিশালী বিরোধী দল চায়। আমরা তো বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা বিরোধী দলে থাকতে সব সময় যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে আওয়ামী লীগ ছুটে যেত জনগণের পাশে। এটাই বিরোধী দলের কাজ।

‘কিন্তু আজকে যারা নিজেদের বিরোধী দল বা প্রতিদিন সরকার উৎখাতের জন্য বক্তৃতা বিবৃতি আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে, দুর্যোগে মানুষের পাশে কোথায় তারা? কয়টা দুর্গত মানুষের মুখে তারা খাবার তুলে দিয়েছে? কয়টা মানুষের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে? কেউ নেই।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘যারা, এটা করেনি ওটা করেনি বলে সরকারের সমালোচনা করছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন নিজে কয়টা লোককে সাহায্য করেছেন, তার একটা হিসাব পত্রিকায় দিয়ে দেন। তাহলে মানুষ আস্থা পাবেন।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মতে, সমালোচনাকারীদের কর্মসূচি পত্রিকা-টেলিভিশনেই সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। আগে একটা মাত্র টেলিভিশন ছিল, আমি বেসরকারি খাতে প্রচুর টেলিভিশন করে দিয়েছি। কয়েকটি মাত্র পত্রিকা ছিল, বেসরকারি খাতে অনেক পত্রিকা হয়ে গেছে এবং তারা বেশ ঘরে বসে বসে বিবৃতিই দিয়ে যাচ্ছেন।

‘আমি বলব, অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা দল যারাই আছেন প্রতিদিন কীভাবে সরকার উৎখাত করবেন সে চিন্তাভাবনা করে। তাদের আমি বলব, শক্তিশালী বিরোধী দল হতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের বিশ্বাস আস্থা অর্জন করতে হবে।’

এ সময় সরকারের সমালোচনাকারী বুদ্ধিজীবীদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের বুদ্ধিটা খোলে তখন, যখন তাদের বুদ্ধি খোলে এবং তারা পরামর্শ দেন তার আগেই কিন্তু আমাদের সরকার সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে নেয়। তাদের এ পরামর্শ দেয়ার আগেই আমরা কাজগুলো করে ফেলি।

‘এই দেশটা আমাদের, এই দেশটা আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আর আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য। এটা আমরা কখনও ভুলি না। মানুষের জন্য কাজ করাকেই আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি এবং সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে করোনার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখেরও বেশি পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে বিনা পয়সায় খাদ্য সহায়তা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চালু হয়ে গেছে। এক দফা দেয়া হয়েছে, আবার আমরা দেব।

এখন আমরা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যেমন ভাসমান মানুষ, নির্মাণশ্রমিক, গণপরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, নরসুন্দর, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক এবং যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে সাধ্যমতো অর্থাৎ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এখানে প্রায় ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে নগদ সহায়তা আমরা দিচ্ছি।’

বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সরকার প্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর