গাজীপুরের টঙ্গীতে বহুল আলোচিত 'কোটিপতি' সেই ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
রেজাউল করীম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সম্পাদক এবং টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মাদক ও চাঁদাবাজি মামলায় মঙ্গলবার রাত সোয়া একটার দিকে হিমারদিঘী কেরানিরটেক বস্তি এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপরই মূলত ছাত্রলীগ থেকে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয় ।
বুধবার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়।
ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রেজাউল করীমের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল। প্রথম দিকে তিনি দাবি করেছিলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবে, সেজন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার বিরুদ্ধে এসব ছড়াচ্ছে৷ এগুলোর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত না।
‘কিন্তু আজকে যখন তাকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয় এরপর আর তার ডিফেন্ডের জায়গাটি থাকে না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
রেজাউল করিম গাজীপুর মহানগরের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা। কক্সবাজার থেকে মাদক এনে টঙ্গীর বিভিন্ন কারবারিদের হাতে পৌঁছে দিতেন। তিনিই এখন টঙ্গীতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। চার বছরে মাদক ব্যবসা করে কোটিপতি বনে গেছেন।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠে, সাজ্জাদুল ইসলাম মনির নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের এই নেতা।
পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় এবং মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।