সরকার নয়, বিএনপিই বিকারগ্রস্ত এবং দুষ্কৃতিকারীদের পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে কল্পকাহিনি সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে বলে দলটির মহাসচিবের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নয়, বিএনপিই বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এবং এজন্য নানা উল্টাপাল্টা কথা বলছে।’
করোনার টিকা নিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এখনও সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অনলাইনে সাংবাদিকদের বলেছেন, টিকা আসতে ছয় মাস লাগবে, অথচ আগামী মাসেই করোনার টিকা আসছে।’
সরকার দক্ষতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করছে এবং একইসঙ্গে মানুষের জীবিকা রক্ষায়ও কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সবসময় দুষ্কৃতিকারীদের পক্ষ নেয়। তাদের নিজেদের দলে আগুনসন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী, যারা মানুষ ও মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে, তারা থাকার কারণেই বিএনপি দুষ্কৃতিকারী-সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেয়।’
শেখ জামাল ছিলেন দুঃসাহসী অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা
বক্তব্যের শুরুতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ জাতির পিতার শহীদ দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বলেন, শেখ জামাল ছিলেন দুঃসাহসী অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় কন্যা শেখ রেহানা, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের সঙ্গে শেখ জামালও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাদেরকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অন্তরীণ করে রেখেছিল। সেখান থেকে দুঃসাহসিকতার সঙ্গে পালিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’
শহীদ শেখ জামালকে দেশের একজন দক্ষ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লং কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বুলেটের আঘাতে জাতির পিতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামালও।