হাতে আর সময় নেই উল্লেখ করে সবাইকে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের আর সময় নেই। রাস্তায় না নেমে, আন্দোলন না করে এই মাফিয়া রাষ্ট্রের স্থাপনটাকে শক্ত করে দিচ্ছি। চলেন সবাই মিলে রাস্তায় নামি।
`সাহস করে রাস্তায় নামতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফিরব না। পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন হবেই। এভাবে দেশ চলবে না। কেউ বিচারের বাইরে থাকতে পারবে না। আন্দোলন করা দরকার একটা সুষ্ঠু জীবন জীবিকার জন্য।‘
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে সাত জন নিহত হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে গুলি চালায় পুলিশ
পুলিশ বলছে, শ্রমিকরা সেদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন দিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। পাশাপাশি চীনা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তখন গুলি চালায় তারা।
ঘটনাস্থল ঘুরে এসে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘১৮ বছরের একটি ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। বিধবা মা তাকে কষ্ট করে মানুষ করেছিল। পুলিশ মেরেছে নাকি, গুন্ডা বাহিনী গুলি করে মেরেছে, কেউ বলেনি। এমনকি পুলিশও কথা বলতে ভয় পায়।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রাহমান মান্না বলেন, ‘এটা একটা মজার দেশ। লকডাউনের মাঝেই ট্রাফিক জ্যাম চলছে। সরকার জীবন মৃত্যু নিয়ে খেলা খেলছে কেবল মাত্র নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় তখন বলা হয়েছিল টেক্সটাইল মিল হবে। পরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয় স্থানীয় জনগণের আন্দোলন উপেক্ষা করে। সেখানেও হামলা হয়। অর্থাৎ স্থানীয় ভাবে সেখানে আগে থেকেই নানান জটিলতা আছে৷’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্রদের অধিকার আদায়ের অন্দোলন, কোটা আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে সরকার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে সহিংসতা ঘটায়। মামলা দেয় আন্দোলনকারীদের নামে। আজ সময় এসেছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে সুস্পষ্ট রূপরেখার ভিত্তিতে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার। শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ বা র্যালি করলে চলবে না।’