বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমার বক্তব্য কেউ অনুধাবন করেনি: বিএনপিকে আব্বাস

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৪৭

‘আমি যদি বলতাম কী উত্তর দিয়েছি সেটা আমি সাংবাদিকদের ডেকে ব্রিফ করে বলতাম। ইটস বিটউইন মি অ্যান্ড মাই পার্টি। আর চিঠি যেহেতু পাঠিয়েছি, সেটা পার্টির প্রোপার্টি। দলের সেক্রেটারি জেনারেল চাইলে সেটা প্রকাশ করতে পারেন, আমি কিছু বলব না।’

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর গুমে সরকার জড়িত নয় বলে দেয়া বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেলন করে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটি কেউ অনুধাবন করতে পারেননি বলে বিএনপিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিএনপির চিঠির জবাবে সোমবার ব্যাখ্যা পাঠান আব্বাস। এতে তিনি এ কথা বলেন।

আব্বাসের জবাব পাওয়ার বিষয়টি বিএনপিকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি জানান, বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে লোকমারফত এই ব্যাখ্যা পাঠান আব্বাস।

এমরান সালেহ বলেন, ‘১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পরদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবু দল তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। তিনি বলেছেন তার বক্তব্য আসলে কেউ অনুধাবন করেনি, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।’

তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনো বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কাজ করিনি। দলের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি নিরসলভাবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি সামনে থেকে।’

তবে চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তিনি কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটি জানাতে চাননি মির্জা আব্বাস। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলতাম কী উত্তর দিয়েছি, সেটা আমি সাংবাদিকদের ডেকে ব্রিফ করে বলতাম। ইটস বিটউইন মি অ্যান্ড মাই পার্টি। আর চিঠি যেহেতু পাঠিয়েছি, সেটা পার্টির প্রোপার্টি। দলের সেক্রেটারি জেনারেল চাইলে সেটা প্রকাশ করতে পারেন, আমি কিছু বলব না।’

যে কারণে এই চিঠি

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সে সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী। তার সঙ্গে উধাও হয়ে যান তার গাড়িচালক আনসার আলীও।

অন্তর্ধানের নয় বছর পূর্তিতে গত ১৭ এপ্রিল এক অনলাইন আলোচনায় এসে মির্জা আব্বাস যেন বোমা ফাটান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে সেই আলোচনায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব যে ভূলুণ্ঠিত হতে যাচ্ছে এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হলো ইলিয়াস আলীর গুম। আমি জানি, বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াসকে গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করল কে? এই সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয় মারাত্মক রকমের। ইলিয়াস তাদের খুব গালিগালাজ করেছিল। সেই যে পেছন থেকে দংশন করা সাপগুলো আমাদের দলে এখনও রয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে আব্বাস আরও বলেন, ‘যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত না করেন, তাহলে কোনো পরিস্থিতিতেই দল সামনে এগোতে পারবে না।’

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী

বিএনপি শুরু থেকেই ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের হাত আছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এই অবস্থায় আব্বাসের বক্তব্য দলটির জন্য বিব্রতকর হয়ে যায়।

আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে এসে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।

তবে পরদিন মির্জা আব্বাস সংবাদকর্মীদের সামনে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। প্রথমে তিনি নিজের বক্তব্য অস্বীকার করেন। কিন্তু বক্তব্যের রেকর্ড আছে জানানো হলে তিনি বলেন, কটাক্ষ করে বলেছেন।

তিনি বলেন, তার বক্তব্যের একটি অংশ থেকে এক লাইন, অপর অংশ থেকে আরেক লাইন নিয়ে মনের মাধুরি মিলিয়ে লেখার অভিযোগ এনে বিএনপি নেতা সেদিন বলেন, ‘আমি বলেছি, আমার দলের মধ্যে যদি কেউ থাকে যারা নাকি শয়তান, এদেরকে দলের একটু বাছাই করা দরকার।’

বিএনপিতে যা হয়েছে

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ওই নেতা জানান, ভার্চুয়াল সভার পর মির্জা আব্বাসকে দলের পক্ষ থেকে তিনটি ড্রাফট দেয়া হয়, যা তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। সেখানে তাকে অনুতপ্ত হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আব্বাস সংবাদ সম্মেলনে সেই তিনটি ড্রাফটের কোনো বক্তব্য দেননি। এরপর দলের হাইকমান্ড তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।

এ বিভাগের আরো খবর