নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর গুম নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি প্রসঙ্গে রেগে আগুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। চিঠির খবর প্রকাশ করা সাংবাদিক ও নিজ দলের কর্মীদের ‘জারজ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুমের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে বোমা ফাটানো তথ্য দেন মির্জা আব্বাস।
বলেন, ‘আমি জানি, বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াসকে গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করল কে? এই সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই।…ইলিয়াস আলী গুমের নেপথ্যে আমাদের দলে যারা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার, তাদের সবাই জানেন।’
এমন বক্তব্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পরদিনই সংবাদ সম্মেলনে এসে মির্জা আব্বাস উল্টো কথা বললেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে স্থায়ী কমিটির এই নেতাকে গত বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠায় বিএনপি।
চিঠির বিষয়ে মির্জা আব্বাসের কোনো বক্তব্য পাচ্ছিলেন না সাংবাদিকরা। কারও ফোন রিসিভ করছিলেন না তিনি, দেখাও দিচ্ছিলেন না।
অবশেষে শনিবার রাতে এক সংবাদিকের ফোন রিসিভ করেন মির্জা আব্বাস। চিঠি প্রসঙ্গে কথা তুলতেই ওই সাংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারান তিনি, যার একটি অডিও রেকর্ড এসেছে নিউজবাংলার হাতে।
চিঠির ব্যাখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘কিসের চিঠি?’
দল থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দিলে আব্বাস বলেন, ‘যদি আমাকে চিঠি দিয়ে থাকে, সেটা হলো আমার দলের চিঠি আমাকে দিয়েছে। অন্যদের জানার দরকার কী সেটা?’
এ নিয়ে কথার একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার ঘরের খবর অন্যদের দরকার পড়ল কেন? আমার দলের চিঠি আমার কাছে আসছে। আমি চিঠির জবাব দেব, এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। এটা তোমরা কী করে জানবা? জানার চেষ্টা করলে কেন? আমি তোমাকে কথাটা বলি নাই। আমি বলছি যারা এটা করছে।
‘এই সমস্ত দুই পয়সার সাংবাদিক আর পুলিশকে আমি জমা খরচ কম দিই? সুতরাং আমার কাছে এই ধরনের প্রশ্ন করবা না। আমার কাছে এই ধরনের উত্তর কখনও পাবা না।’
মির্জা আব্বাস ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘ওই চিঠি ফাঁসে যে সমস্ত নেতা জড়িত রয়েছেন এবং যে সমস্ত সংবাদকর্মী সংবাদ করেছেন প্রত্যেকে “জারজ”।’