পুলিশি রিমান্ডে হেফাজত নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তারা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে, কোথায় কখন কার বাসায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে।’
শনিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় স্বল্প আয়ের দুই হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে ঢাকার বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডব প্রসঙ্গে হাছান বলেন, ‘বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে দেশে নৈরাজ্য করা হয়েছিল। তাতে বিএনপি ও জামায়াত পুরোপুরিভাবে সহায়তা ও অর্থ দিয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও অর্থায়ন পেয়েছে। সুতরাং এই নৈরাজ্যে যারা জড়িত ছিল এবং যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।’
ভারতের ইকনোমিক টাইমস ও বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ব্যানারে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে বিএনপি-জামায়াত সক্রিয় অংশ নিয়েছে, অর্থ যোগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য করেছে।’
হেফাজতের তাণ্ডবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি ধ্বংস করা এমনকি ভিন্নধর্মের উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। এগুলো নিছক বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।’
এর আগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। করোনাকালে দিনমজুর, মাঝি, রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে-খাওয়া নিম্নবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তার এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকদের ধানকাটায় সহযোগিতা করতেও দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।