নাশকতা ও হত্যা চেষ্টায় যাত্রবাড়ী থানায় করা মামলায় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রিমান্ড শেষে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিলাল আল আজাদ শুক্রবার নিপুণসহ চার আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
নিপুণের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার বাবা নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন মেসবাহ কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) নিভানা খায়ের জেসী।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, গত ২১ এপ্রিল কারাগার থেকে আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখা দরকার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিলাল আল আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিপুণ রায়সহ আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
যাত্রাবাড়ী থানায় করা নাশকতার মামলায় গত বুধবার নিপুণ রায়সহ চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালে বাসে আগুন দিতে দলীয় এক কর্মীকে মোবাইল ফোনে নির্দেশ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরী। এই কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় র্যাবের একটি দল নিপুণ ও তার কর্মী আরমানকে আটক করে। পরে বাসে আগুন দেয়া ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলাতেও নিপুণকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।