বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওলামা নয়, গ্রেপ্তার অগ্নিসংযোগকারীরা: কাদের

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:২২

হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে বিএনপির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কোনো আলেম-ওলামা নয়, সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে যারা আগুন দিয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজশাহী সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, ‘কোনো দল বা আলেম-ওলামা দেখে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যারা এ তাণ্ডবলীলার সাথে সরাসরি জড়িত, বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দিয়েছে, ভিডিও দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে গত ২৬ ও ২৮ মার্চ দেশের নানাস্থানে তাণ্ডব চালায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।

৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে অবরুদ্ধ মামুনুল হককে উদ্ধার করতে যাওয়া নেতা-কর্মীরাও তৈরি করে ত্রাস।

সেই রিসোর্ট ছাড়াও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় ছাত্র ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, মহাসড়কের যানবাহনে বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়েছে তারা। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান আর সুনামগঞ্জের ছাতকেও উসকানি ছাড়াই হামলা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়ে।

হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা সংগঠনটিকে এরপর কঠোর বার্তা দেয় সরকার। একে একে গ্রেপ্তার করা হয় ১০ শীর্ষ নেতাকে। যার সব শেষ সংযোজন মামুনুল হক যিনি হেফাজতের চতুর্থ সারির নেতা হলেও গত কয়েক বছর উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।

হেফাজতের ১০ জন নেতাকেই পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অথবা করছে।

হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে বিএনপির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, ‘হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তা আজ সবাই জানে। হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক যে তাণ্ডবলীলা তাতে শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই নয় বরং এসব সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিল বিএনপি।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন সরকার নাকি গণবিচ্ছিন্ন। গত ১৩ বছর টানা ব্যর্থতার গ্লানিবোধ থেকে বিএনপি এসব কথা বলছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপিই জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত ও গণবিচ্ছিন্ন।

‘বিএনপি এক যুগের বেশি সময় ধরেই আন্দোলনের হাঁক-ডাক দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আন্দোলনই নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে বিএনপির নির্লজ্জ ভরাডুবিই প্রমাণ করে জনগণ থেকে কারা জনবিচ্ছিন্ন।’

কাদের বলেন, ‘করোনার এ সময়ে রাজনৈতিক উদেশ্যে বিরূপ মন্তব্য করা সমীচীন নয়। পারস্পরিক দোষারোপ করাও এ সময় উচিত হবে না। কিন্তু নিত্যদিন বিএনপির মিথ্যাচার ও অন্ধ সমালোচনার জবাব দিতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে যে দল অগণতান্ত্রিক পথরেখা ধরে হেঁটেছে তারা আজ গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে এবং সবক দিচ্ছে দেশ ও জাতিকে।’

‘বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে না ভোটের বাক্সবিহীন হ্যাঁ/না ভোট আর রাতের বেলায় কারফিউ। বিএনপির গণতন্ত্র মানে ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, মাগুরা, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন আর এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের প্রস্তুতি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের বন্ধুর পথ ধরে হাঁটছেন শেখ হাসিনা। বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে অত্যন্ত আন্তরিক বর্তমান সরকার।

‘কিন্তু বিএনপি এ পথে বড় বাধা। তাদের অসহযোগিতা এবং বাধার কারণেই গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর