চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রোববার ওই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তিনি।বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন।বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও পবিত্র রমজানের ইফতার, সেহরি এবং তারাবি ঠিক রেখে কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা।
কেন ও কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। পবিত্র মাহে রমজানে এমন হতাহতের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন কাদের। বিবৃতিতে জিএম কাদের নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান জাপা চেয়ারম্যান।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো ও এইচটিজির চুক্তি হয়। ২০১৭ সাল থেকে গণ্ডমারা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমিতে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চুক্তি হওয়ার পর থেকেই গ্রামবাসীদের একটি পক্ষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, এতে গ্রামের পরিবেশ দূষিত হবে। আরেক পক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষ নেয়।
এর জেরে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তা নিয়ন্ত্রণে যায় পুলিশ। তখন নিহত হন চার গ্রামবাসী। আহত হয় পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন।
এ ঘটনার পাঁচ বছর পর আবারও রণক্ষেত্র হলো বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা।