করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তানের হাই কমিশনার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুর সাত্তারের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বুধবার (১৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী শারীরিক সুস্থতা কামনা করে চেয়ারপারসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।’
গত রোববার খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত তার বাসার অন্তত ৯ জন। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর।
করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।