অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান করে এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সামনে বর্ষাকাল, তাই বর্ষা শুরু হবার আগেই নির্মাণাধীন কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বর্ষার আগে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।’
কাদের জানান, ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাস্তা ফাঁকা থাকবে, তাই এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে। সামনে যেসব প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে তার পেপার ওয়ার্ক এখনই শেষ করতে হবে যেন শুকনো মৌসুম এলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়।
বিগত কয়েক বছরে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে এসব কাজ আরেও এগিয়ে নিতে হবে। এ সময় ঢাকা-কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, তাই এই প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি গতি পেয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বা কাজ শুরু হওয়ার আগে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।
‘শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক নিপীড়নে বিশ্বাসী নয় বরং সকল দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সরকার নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের হেফাজতের মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ গতানুগতিক, এবং সত্য নয়।’
হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী যে তান্ডব চালিয়েছে এবং জনগণ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে তা নিয়ে বিএনপি একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি বলেও অভিযোগ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না, ধর্ম কখনও সহিংসতা উসকে দেয় না। যারা ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিলের নোংরা রাজনীতি করছে এবং সম্পদ নষ্ট করছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে এমন অভিযোগ সত্যের অপলাপ। মামলায় আসামি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া নেতাকর্মীদের কোথায় হয়রানি করা হচ্ছে তার তালিকা দিন। ঢালাও অভিযোগ না করে স্পষ্ট প্রামাণ দিন।’