আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কোনো কর্মীর জানাজার নামাজে মামুনুলসহ হেফাজতে ইসলামের নেতাদেরকে ইমাম হিসেব চান না বলে জানিয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
রাজধানীর ফার্মগেটে সোমবার বিকেলে যুবলীগের পক্ষ থেকে দেশ জুড়ে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হেফাজতের ত্রাসের সমালোচনা করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জানাজা না পড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজত নেতারা।
সংগঠনের নেতারা প্রায়ই এই ধরনের বক্তব্য রাখেন। কওমিপন্থিদের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও সামাজিক মাধ্যমেও এসে তাদের সমর্থকরা এসব সংবাদের বিষয়ে কোনো কথা না বলে ‘জানাজা কে পড়াবে’- এই ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে।
যুবলীগের মাইনুল হোসেন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মারা গেলে তারা (হেফাজতে ইসলাম) নাকি জানাজা পড়াবে না। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমাদের জানাজায় তাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের জানাজা পড়ানোর জন্য অনেক আলেম ও আল্লাহর ওলিরা রয়েছেন। ভণ্ড মামুনুলরা মারা গেলে তাদের জানাজা কারা পড়াবে তা আমরা দেখব।’
করোনা মহামারিতে হেফাজতে ইসলামের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নিখিল। তিনি বলেন, ‘তারা কখনও সাধারণ মানুষের পাশে ছিল না এবং সবসময় রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল।’
বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথা চারা দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না।’
করোনার মহামারির শুরু থেকে যুবলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সেবায় মরদেহ দাফন করা, বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে জানিয়ে এই যুবলীগ নেতা বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ধাপে এসেও মানবিক যুবলীগ মানুষের পাশে থাকবে। এরই মধ্যে আমরা একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছি।’
সাধারণ মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়ার পাশাপাশি সারা দেশে ১০ লাখেরও বেশি মাস্ক বিতরণ করার কথা জানান মাইনুল হোসেন খান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির টেলিমেডিসিন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য চিকিৎসক খালেদ শওকত আলী, মৃনাল কান্তি জোদ্দার, টেলিমেডিসিন বিভাগের সমন্বয়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীসহ আরও অনেকে।