হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে’ সরকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘ভয়াবহ করোনার মধ্যেও পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে তাদের বাড়ি বা পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। পুলিশের অপকীর্তি ও হামলায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার বিএনপির দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ২৬ ও ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ও ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডের পরও নানা এলাকায় সহিংসতা করে হেফাজত।
এসব মামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে চাচ্ছে। এটা সরকারের ভ্রষ্টাচার নীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৯ মার্চ দেশব্যাপী মহানগর ও ৩০ মার্চ জেলা সদরে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দেয়।
‘দলের এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় পুলিশ ব্যাপক হামলা, গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। খুলনা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। হামলায় বিএনপি নেতা বাবুল কাজীসহ ৩০ জন আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ বাবুল কাজী গতরাতে ইন্তেকাল করেন।’
ফখরুল বলেন, গত ৩০ মার্চ নওগাঁর বিক্ষোভের দিন ১৭ জন আর গত শনিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৪ দিনে ময়মনসিংহে ১৪ জন, কিশোরগঞ্জে গত তিন দিনে ২০ জন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১০ জন ও পটিয়ায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’