বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসায় করোনা আসবে না: বাবুনগরী

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ২১:২৬

বাবুনগরী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে মাদ্রাসার কোনো ছাত্র করোনায় আক্রান্ত হয় নাই। মাদ্রাসার কোনো বড় হুজুর করোনায় আক্রান্ত হয় নাই। যারা বেশি করোনা থেকে বাঁচতে চায়, করোনা তাদেরকে ধরবে।’

মাদ্রাসা-মসজিদে কোরআন হাদিসের আলোচনা হয় বলে এসব স্থানে করোনা আসবে না বলে দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এ কারণে লকডাউনের নামে রোজায় মসজিদ, মাদ্রাসা বন্ধ না করার অনুরোধ জানান তিনি।

হেফাজতে ইসলামের সদরদপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় রোববার এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে বাবুনগরী এ কথা বলেন।

নিজের দাবির সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বাবুনগরী বলেন, ‘তার প্রমাণ হলো, আল্লাহর রহমতে মাদ্রাসার কোনো ছাত্র করোনায় আক্রান্ত হয় নাই। মাদ্রাসার কোনো বড় হুজুর করোনায় আক্রান্ত হয় নাই। যারা বেশি করোনা থেকে বাঁচতে চায়, করোনা তাদেরকে ধরবে।’

জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, ‘লকডাউন দিয়ে আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা, নুরানী, হেফজখানা, কওমি মাদ্রাসায় হাদিস কালাম পড়া হয়, কী জন্য? করোনা না আসার জন্য যেখানে হাদিস কোরআন পাঠ করা হয়, যেখানে হেফজখানার ছাত্ররা কোরআন হাদিস পাঠ করে ইনশাআল্লাহ কোরআনের বরকতে হাদিসের বরকতে করোনা আসবে না।’

পবিত্র রমজানে ‌‘কালেকশন’ আছে উল্লেখ করে বাবুনগরী বলেন, ‘এই মাহে রমজান একটা বড় সিজন কালেকশনের। জাকাত, ফিতরা- এগুলো নিয়া সারা বছর চলে। এই লকডাউন দিয়ে এটা বন্ধ করতেছে।’

এই মৌসুমে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ মানে মাদ্রাসার সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ চেষ্টা বলেও অভিহিত করেন হেফাজতের এই শীর্ষ নেতা।

তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা না থাকলে মুসলমান থাকবে না, বাংলাদেশ স্পেন হয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশকে স্পেন হতে দেব না।’

হেফাজত নেতাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়াকে হয়রানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগেও এই ধরনের হয়রানি হয়েছে। আবারও হচ্ছে।’

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও কমওমি মাদ্রাসাগুলো চালু ছিল।

গত ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এতিমখানা বাদে কওমি মাদ্রাসাসহ সব ধরনের মাদ্রাসা (আবাসিক ও অনাবাসিক) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশে বলা হয়, এটি পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য দেখানো যাবে না।

এর আগে গত ২৯ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনাতেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়। তখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বর্তমানে দেশে লকডাউন বলবৎ আছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু আবাসিক ও অনাবাসিক মাদ্রাসা এখনও খোলা রয়েছে বলে জানা যায়, যা কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ অনুরোধে গত বছরের আগস্ট মাসে কওমি মাদ্রাসাগুলো চালুর অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত ৩০ মার্চ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। এখানে শুধু কওমি না, সব মাদ্রাসা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই সংক্রমণ রোধ না করা গেলে সমস্যা হবে।’

এদিকে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ রয়েছে বলে সম্প্রতি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের। তিনি, ‘ক্লাস কিন্তু আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। যখন নিচের পরীক্ষাগুলো হয়, তারও আগে ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লাস বন্ধ, মাদ্রাসা বন্ধ। শুধু যে কটা ক্লাসের পরীক্ষা বাকি আছে, তাদের পরীক্ষা চলছে।’

বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, তাদের পরিচালিত দেশের ১৩ হাজার ৭১০টি মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষাও নেয়া হয়ে গেছে। তবে মাস্টার্স সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি রয়েছে। শবে বরাতের বন্ধ শেষে বুধবার থেকে এই পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর