বিএনপি করোনার চেয়েও ‘ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত’ মন্তব্য করে দলটির রাজনৈতিক আইসোলেশন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজ বাসভবনে বৃহস্পতিবার সকালে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপি করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত, যার লক্ষণ নেতিবাচকতা, মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস। বিএনপির এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির এ সময়ে বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার হটানোর নামে ধান ভানতে শীবের গীত গাইছেন। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন অসহায়, কর্মহীন, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে সতর্ক করছে তখন বিএনপি তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক মিত্রদের নিয়ে দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশে অগ্নি সন্ত্রাসের জনক বিএনপি, আর এ সন্ত্রাসের আগুনে একসময় নিজেদের ঘরও পুড়বে। নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন হেফাজতের উপর ভর করছে। বিএনপির অপরাজনীতি বুমেরাং হতে বাধ্য।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে বিএনপি নির্মম ও নির্লজ্জ রাজনীতি করছে, তারা একবার বলে লকডাউন দিতে হবে, আবার বলে লকডাউন দিলে মানুষ খাবে কী?
‘বিএনপির এমন দ্বিমুখী নীতি এবং করোনা নিয়ে অপরাজনীতি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এজন্যই ক্ষেত্রবিশেষে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারকে সরাতে ছাত্র ও শ্রমিকদের ঐক্যের কথা বলছেন। কিন্তু তারা ছাত্র-শ্রমিকদের কোনো সাড়া পাচ্ছে না এবং জনগণেরও কোনো আস্থা পাচ্ছে না।
এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা সড়ক জোনের অধীনে ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে আট লেন নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর এবং নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতুটিও এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
‘আট লেন সেতু ছাড়াও সেতুর দুই প্রান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে দুইশ তেত্রিশ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতু।’
লকডাউনের মধ্যে মহানগরে গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কাদের বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহানগরে বেশিরভাগ পরিবহন নিষেধাজ্ঞা মানলেও অনেক পরিবহন মানছে না। আবার কেউ কেউ নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পরিবহন চালাচ্ছে।
‘এ অবস্থায় সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শর্ত উপেক্ষা করলে সরকার আবারও কঠোর হতে বাধ্য হবে।’