বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদক কমরেড জলি তালুকদার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ্র ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফয়েজ উল্লাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার রাত ৯টার দিকে আমার ওপর হামলা করেছেন সিপিবি নেতা জলি তালুকদার।’
কেন এই হামলা জানতে চাইলে ফয়েজ উল্লাহ্ বলেন, ‘ফেসবুকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ে লেখালেখির অভিযোগে কবি নজরুল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী জোবায়ের সজলের ওপর আজ (রোববার) বিকেলে হামলা করেন সিপিবি শান্তিনগর শাখার নেতা মঞ্জুর মঈন। আমরা এই হামলার প্রতিবাদে একটা বিবৃতি দিই।
‘পরে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে আমাকে ডাকেন জলি তালুকদার। বলেন, তোমার সঙ্গে কথা আছে। ডেকে নিয়ে পল্টন রেস্তোরাঁর অপজিটে যান। তারপর বলা শুরু করেন, তুই আমার বিরুদ্ধে লেগেছিস কেন, বিবৃতি কেন দিয়েছিস; বলেই শার্টের কলার চেপে ধরেন। এই সময় সিপিবির আরেক নেতা হযরত আলী এসে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। আমি পড়ে গেলে আবার কিল-লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন।’
ফয়েজ উল্লাহ্ বলেন, ‘আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কী বলব, এটা কখনও ভাবতে পারি না ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির ওপর সিপিবি নেতা হামলা করবেন।’
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জলি তালুকদার।
এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জলি তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। তবে শুনলাম বিকেলে ওরা একটা প্রেস রিলিজ দিয়েছে। কিন্তু বিকেলে তো পার্টির সমাবেশে সবাই ছিল, দেখেছে সবাই ঘটনা।’
রোববার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ‘আজ বিকেল ৪টায় শ্রমজীবী মানুষের সহযোগিতা নিশ্চিত করার দাবিতে পল্টনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত মানববন্ধনে যোগ দিতে আসে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কবি নজরুল সরকারি কলেজের দপ্তর সম্পাদক জোবায়ের সজল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে তাকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবন থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি শান্তিনগর নেতা মঞ্জুর মঈন। এই সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এলে তাকেও শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জলি তালুকদার, জওহর লাল রায়সহ আরও কয়েকজন।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির মতো সুশৃঙ্খল সংগঠনের নেতাদের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতার অভাবই এই ধরনের ঘটনার অনুঘটক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ন্যায়বিচার দাবি জানাই।’