হেফাজতে ইসলাম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে সংসদে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের তৃতীয় ও সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘রাষ্ট্রীয় ভবন, আদালত ও স্থাপনায় আঘাত মানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতীক। তার প্রতিকৃতিতে আঘাত মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা। মহান স্বাধীনতা দিবসে তাণ্ডব মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা, বাংলাদেশকে অস্বীকার করা।’
ইনু বলেন, ‘দুধ-কলা দিয়ে গোখরা সাপ পুষতে নাই। গোখরা সাপ কিন্তু দিন শেষে যে পুষবে তাকেও ছোবল মারে।’
আমি এই সতর্কবানী উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানাবো, ‘আপনি রাখ-ঢাক না করে মামুনুল হক ও বাবুনগরীদের নাম উচ্চারণ করেন বলিষ্ঠভাবে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করেন, কারাগারে নিক্ষেপ করেন এবং জঙ্গিদের যেমন সফলভাবে দমন করেছেন। তেমনি তাদেরও দমন করেন।’
ইনু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা। মামুনুল হক বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে প্রকাশ্যে হুংকার দিয়ে বক্তব্যে দিয়েছেন, বাবুনগরী চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বক্তব্যে দিয়েছেন।
এরজন্য দূরবীন দিয়ে মামুনুল হক বাবুনগরীকে খোঁজা লাগবে না। ডিজিটাল সমাজে প্রত্যেক ঘরে ঘরে তাদের ভাষণ আছে। মামুনুল হক এবং বাবুনগরীকে কেন প্রধান উসকানিদাতা হিসাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? ’
তিনি বলেন, ‘আপনার সক্ষমতা আছে, যোগ্যতা আছে, আপনি দমন করেন। আপনি তাদের দমন করে রাষ্ট্রকে নিরাপদ করেন।’
ইনু আরও বলেন, এই অপশক্তিকে ছাড় দেয়া উচিত হচ্ছে না।
মনে রাখবেন বিএনপি প্রকাশ্যে এদের সমর্থন করছে।
‘বিএনপি কে? ফেরেশতাদের নেতা ছিলেন ইবলিশ। আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে ইবলিশ পরিণত হয়েছে ইবলিশ শয়তানে। ইবলিশ ফেরেস্তাগিরি ছেড়ে দোযখের ঠিকাদারি নেয়। ঠিক তেমনি বীরউত্তম জিয়াউর রহমান আর কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা যুদ্ধের কাজ বাদ দিয়ে রাজাকারের ঠিকাদারি নেন। সেই রাজাকারের ঠিকাদারির দল আজ বিএনপি। সেই বিএনপি আজকে সরাসরি হেফাজতকে সমর্থন দিচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তানের রাজাকার এবং পাকিস্তানপন্থির মুখোশে বিএনপির ভাড়াটে খেলোয়াড় হিসেবে খেলছেন হেফাজত নেতা মামুনুল আর বাবুনগরীরা।’