হেফাজতের ডাকা হরতালে বাসে আগুন দেয়া ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার এসআই সুদীপ কুমার বিশ্বাস আসামি নিপুণ ও তার কর্মী আরমানকে সিএমএম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন আবেদন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপিপন্থি আরও দুই আইনজীবী।
জামিন আবেদনে মাসুদ তালুকদার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অকাট্য কোনো প্রমাণ নাই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, তারা তাদের তদন্তকাজ চালাক, কিন্তু আসামিদের জামিন দেয়া হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে, আশা করি আর কিছু বাকি নাই। তাই তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হোক।’
রাষ্ট্র পক্ষে সিএমএম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দীন হিরন জামিনের বিষয়ে বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম মাসুদ-উর-রহমান।
এর আগে গত সোমবার দুই আসামিকে তিন দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠায় আদালত। আগের দিন রাজধানীর জনপথ মোড় ও মালিবাগে বাসে অগ্নিসংযোগে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে নিপুণ রায়কে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব থেকে জানানো হয়, নিপুণ রাজধানীসহ সারাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মালিবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেয়া হয়।
নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ।