নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী কর্মসূচি ও হরতালে সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ১টা ৪০ মিনিটের দিকে মসজিদের উত্তর পাশের গেটে সীমানার ভেতরে সিঁড়িতে অবস্থান নেয় তারা। সমাবেশে ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।
বিক্ষোভে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে হেফাজত নেতা-কর্মীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরের কোনো মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। প্রতি রাতে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ভাই স্বজন মারা গিয়েছে তারা আজ আতঙ্কগ্রস্ত। আজকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
‘যে এমপির নির্দেশে মিছিল নিয়ে ইউনুছিয়া মাদ্রাসা আক্রমণ করা হলো, ককটেল মারা হলো তাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হলো না। মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো না। আমরা সমাবেশ থেকে জানাতে চাই অনতিবিলম্বে মুক্তাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হোক। মুক্তাদিরের নেতৃত্বে যারা অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে আমিরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরীর নির্দেশে আরও বড় ত্যাগ ও কুরবানি স্বীকার করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা ২০টি জীবন দিয়েছি প্রয়োজনে হাজারো ভাইয়ের শাহাদতের রক্ত ঝরবে।’
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা মিডিয়া হন কিন্তু মিডিয়ালীগ হবেন না। আমরা জানি, আপনারা কারা কী রিপোর্ট করেন। কারা কী ছবি বিদেশে পাচার করেন। সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। এগুলো আমরা সংরক্ষণ করব। তবে অনেক ভালো ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক মিডিয়া আছে তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বাকিদেরকেও বলি আপনারা হেলমেট লীগ না হয় জনতার কাতারে চলে আসুন।
‘আমাদের ভাইদের কে শহিদ করা হয়েছে আমরা যদি চাইতাম, হাটহাজারী কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয় সারা বাংলাদেশের চার শ উপজেলার কোনো উপজেলা বাকি থাকতো না। আমরা ঘেরাও করার সামর্থ্য রাখি। আপনারা আমাদের দুর্বল ভাববেন না। সাবধান হয়ে যান আমাদের ভাইদের একজন কেউ আর গ্রেপ্তার করবেন না।’
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা শরিফুল্লা।