আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক সংগঠন বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত সহসাধারণ সম্পাদক মেঘমাল্লার বসু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক বিক্ষোভে বামপন্থি এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক সংগঠন, যারা একদিকে সাপ হয়ে কামড়ায়, অন্য দিকে ওঝা হয়ে ঝাড়ে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ও ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পর পুলিশের গুলিতে প্রাণহানির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো। অবশ্য তারা হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়টি উল্লেখ না করে ‘মোদিবিরোধী সমাবেশ-মিছিলে নির্যাতন-হত্যাকাণ্ড’ বিষয়টি তুলে ধরেছে।
দুপুরে টিএসসি থেকে একটি মিছিল বের করে সংগঠনগুলো। পরে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেয়। পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে হয় সমাবেশ।
সমাবেশে মেঘমাল্লার বলেন, ‘গত ১৯ মার্চ বিসিএস পরীক্ষায় চট্টগ্রামে এক হিন্দু মহিলা শাঁখা পরে গিয়েছিলেন। তার শাঁখা ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারণ শাখা পরে পরীক্ষা দেয়া যাবে না।
‘আগামী ১৫ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের পরীক্ষার তারিখ দেয়া হয়েছে। অথচ সেদিন হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বিজয়া দশমী। এসব কাজ কে করেছে? হেফাজতে ইসলাম? না, এসব কাজ করেছে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক সংগঠন আওয়ামী লীগ।’
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা মোদিবিরোধী আন্দোলনে হামলা করেছে তারা মোদি লীগ। হামলায় শত শত ছাত্র-জনতা আজও হাসপাতালে এবং জেলখানায় আছে। এই স্বৈরাচারী সরকার থেকে আজ কেউ নিরাপদ নয়। এ ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।’
‘আইয়ুব, এরশাদ গেছে যে পথে, হাসিনাও যাবে সে পথে’- এ স্লোগান আজ জনপ্রিয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এ স্লোগানকে ধারণ করবে তারা দেশপ্রেমিক আর যারা এর বিপরীতে কথা বলবে তারা রাজাকার, তারা গুণ্ডা, তারা মাফিয়া।’
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ‘যুবলীগ নেতার নেতৃত্বেই সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। অথচ বলা হয়েছে সেখানে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। …ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, হামলা-মামলা করে কখনো আন্দোলন দমাতে পারবেন না। আপনাদের পতন হবে, জনগণই আপনাদের পতন ঘটাবে।’
বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের একাংশের সভাপতি মিথুন সরকারও বক্তব্য রাখেন।