বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নৈতিক সমাজ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ১৭:১২

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ম স আ আমিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতির ভয়ানক অধঃপতন ঘটেছে। সৎ, মেধাবী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। এসব প্রয়োজন পূরণ করতেই নতুন দল হিসেবে নৈতিক সমাজ গড়ে তোলা হয়েছে।’ 

অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘নৈতিক সমাজ’ নামের রাজনৈতিক দল।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে মঙ্গলবার দুপুরে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ‍যুক্ত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে নৈতিক সমাজের সাফল্য কামনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের জ্ঞানের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে; আমরা সত্য জানছি না। অনেক দেশ আমাদের শাসন করেছে। আমরা গাড়ি ভাঙচুর চাই না, উন্মাদনা চাই না, কথা বলার ও আমার বক্তব্য তুলে ধরার অধিকার চাই।

‘এভাবে তো একটা দেশ চলতে পারে না। আপনাদেরও (ক্ষমতাসীন) বিচার হবে। সে দিন খুব বেশি দূরে না। সে লক্ষ্যেই আজ নৈতিক সমাজের জন্ম। তাদের এই জন্মকে শুভকামনা জানাচ্ছি। এর মাধ্যমেই জেগে উঠবে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর এক নম্বর রাষ্ট্র হতে চাই না; আমরা বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা চাই। সমাজের প্রতিটা মানুষ যেন সুফল পায়।

‘আমাদের এক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল দেশে আসতে চান। কিন্তু ভিসা জটিলতায় আটকে আছে। আমাদের উন্নত রাষ্ট্র হয়ে লাভ কী, তার সুফল যদি সাধারণ মানুষ না পায়। হতাশা বাদ দিয়ে আমাদের জেগে উঠতে হবে; এর মধ্যেই আমাদের মুক্তি।’

ড. কামাল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সৎ ও সত্যের পক্ষে। এই জিনিসটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ জন্য তরুণ সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সমর্থনই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। অসত্য, অনৈতিক, অসৎ মানুষদের সাধারণ জনগণ মেনে নেয় না, তাদের ঘৃণা করে। এ জন্য অন্যায়, অসত্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এসব থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ যে দলটি এলো সেখানে যেন অসৎ মানুষদের নেয়া না হয়। সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলে আমি মনে করি অন্যায়ের পক্ষের শক্তি পরাজিত হবে।’

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতিবিদ আ ম স আ আমিন বলেন, ‘দল অনেক আছে। কিন্তু বেশির ভাগই সমস্যার অংশ। ৫০ বছরে তারা সমাধানের অংশ হতে পারেনি। সব সমস্যার মূলে রয়েছে অসুস্থ, অনৈতিক, অসৎ ও ভ্রষ্ট রাজনীতি।

‘অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতির ভয়ানক অধঃপতন ঘটেছে। সৎ, মেধাবী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। এসব প্রয়োজন পূরণ করতেই নতুন দল হিসেবে নৈতিক সমাজ গড়ে তোলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নৈতিক সমাজ বলিষ্ঠভাবে জনগণের মধ্যে বিচরণ করে দলকে জনপ্রিয় করে তোলার আশা রাখে। নৈতিক সমাজের রোডম্যাপ, সংক্ষেপে: ২০২১ সাল হবে সাংগঠনিক ও নিবন্ধনের বছর। ২০২২ হবে ব্যাপক প্রচার ও জনসমর্থন সৃষ্টির বছর। ২০২৩ সাল হবে নির্বাচন প্রস্তুতির বছর।

‘আর ২০২৪ সালে বেশ কিছু আসন জিতে নিয়ে নৈতিক সমাজ শুরু করবে ভিশন/মিশন অর্জনের সংগ্রাম; দুই প্রজন্মের মধ্যেই বাংলাদেশকে তৃতীয় থেকে প্রথম বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম।’

৫০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

আ ম স আ আমিন নিউজবাংলাকে জানান, শুরুতে দলের ৫০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে, যার প্রধান তিনি। এ কমিটি আরও বড় হতে পারে।

এরপর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, মেজর (অব.) মুজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুল রহমান, তফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সুরাইয়া রহমান। বাকি সবাই সদস্য হিসেবে থাকবেন। কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মারুফ খালেদ।

দল নিয়ে পরিকল্পনা হিসেবে আ ম স আ আমিন বলেন, ‘আমরা পাঁচটি জেলায় নিউক্লিয়াস কমিটি করে দিয়েছি। ২০২১ সাল আমাদের জন্য সাংগঠনিক বা আহ্বায়ক বছর হবে। এ সময় আমরা নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত রয়েছে, তা পূরণ করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করব। ২০২২ সালে আমরা দলের নীতি নৈতিকতা ঠিক করব, তখন আমরা আরও প্রচার করব। এখনও দলে কোনো সাধারণ সম্পাদক বা অন্য পদ দেয়া হয়নি। এর জন্য সম্মেলন করতে হবে। ২০২৩ সালে আমরা নির্বাচনে দাঁড়াব। এ জন্য আমরা প্রার্থী খুঁজে বের করব।’

দলে ড. কামাল হোসেন বা ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরীর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু নেই। আমি একটা নতুন দল গঠন করেছি আর সেখানে বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত থেকে কথা বলেছেন।’

আ ম স আ আমিন ২০০১ সালের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়ন অনিশ্চিত দেখে তিনি গণফোরামে যোগদান করেন।

এ বিভাগের আরো খবর