ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা হরতালে পুলিশের গুলিতে প্রাণহানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতারা বক্তব্য দেন। পরে তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ সরকার জনগণের অধিকারহরণ করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকারের পতন রাজপথেই হবে। আর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন আইনজীবীরাই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মোদি সাম্প্রদায়িক ও হত্যাকারী। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তারা কারও দাসত্ব মেনে নেবে না। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যারা যারা সহযোগিতা করছেন তাদেরও জনগণ ক্ষমা করবে না।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করায় কয়েকজনকে হত্যা করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা। এ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। ভবিষ্যতে এ জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির আইনজীবী বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইনজীবী আবেদ রাজা, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুস জাব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীসহ অনেকে।
এ সরকার ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
এদিকে, সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ঘিরে ১৪ জন মারা গেছেন। আর হেফাজতে ইসলাম বলছে, মোট নিহতের সংখ্যা ১৭ জন।