বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাণহানির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ১৪:২৩

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। গত তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণ গেল এর জন্য সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী, এ জন্য জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের ‘সাধারণ’ মানুষ মন্তব্য করে তাদের প্রাণহানির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংঘর্ষে প্রাণহানির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ‌যাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই দিনের সফরে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।

পরে সেই সংঘর্ষের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে জড়ান নেতা-কর্মীরা। সেদিন চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। পরের দিন সংঘর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচজন নিহত হন। আর রোববার নিহত হন তিনজন। তার প্রতিবাদেই বিএনপি এই বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। গত তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণ গেল এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী সরকার, এ জন্য জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা কয়েক দিন ধরে লক্ষ করেছি, এই সরকার তার পেটুয়া বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ দিয়ে নিরীহ মানুষদের ওপর অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে।

‘আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়সহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে কখনও একটি দেশ চলতে পারে না।’

ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে৷’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসুন এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় প্রতিটি বিকৃত সরকারকে যেভাবে পদত্যাগ নিতে হয়েছে, আপনাদেরও একইভাবে বিদায় নিতে হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক।

‘কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। আমার জানা নেই যে, একটা সভ্য দেশে শুধু বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। এর জন্য বিচারব্যবস্থা থাকতে পারে, কিন্তু গুলি করে হত্যার বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।’

ফখরুল বলেন, ‘তাদের (ভারতের) সঙ্গে আমাদের যে ব্যবসা-বাণিজ্য আছে সেই ব্যবসার কোনো সমাধান আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। এই সরকার এতটাই নতজানু যে, সরকার ভারত বা অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো কোনোভাবে আদায় করতে পারছে না।

‘এই সরকারকে রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষা হবে না। খালেদা জিয়াকে এই সরকার চক্রান্ত করে তিন বছর ধরে আটকে রেখেছে। তাকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমান নির্বাসিত আছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর