রাজধানীর শাহবাগ ও মতিঝিল থানার দুই মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের আট নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে সংঘর্ষের ঘটনায় আলাদা মামলায় আদালত এই আদেশ দেয়।
এর মধ্যে শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধাদানের মামলায় পুলিশ চার আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এই চার আসামি হলেন রবিউল হাসান, আল আমিন, সজল ও নাজমুল করিম সোহাগ।
মতিঝিল থানার মামলায় অন্য চার আসামি শাকিল উজ্জামান, আল আমিন মিনা, মো. ইব্রাহিম ও সাইফুল ইসলাম সাইফকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উভয় মামলায় রিমান্ড বাতিল চেয়ে সিরাজুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, তৌফিক শাহরিয়ার ও মো. পারভেজ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে ২৫ মার্চ সকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করে নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। তাদের প্রতিহতে রাস্তায় নামে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা।
এক পর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও চড়াও হয় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা। এ সময় গুলিস্থান থানার ওসি ও মতিঝিল থানার দুই উপ পরিদর্শকসহ (এসআই) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের ওপর এই হামলায় মামলা হয় মতিঝিল থানায়।
এরপর ২৭ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করা হয়।