বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদিবিরোধী মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৮:০৯

টিএসসি থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ থানা ঘুরে ফের টিএসসির ডাচ চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা ডাচ চত্বরের সামনে মোদির কুশপুতুল পোড়ানোর চেষ্টা করলে হঠাৎ পেছন থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী কুশপুতল কেড়ে নেন। মারধর করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে একজন ফটোসাংবাদিকসহ জোটের অন্তত ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টিএসসি থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ থানা ঘুরে ফের টিএসসির ডাস চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা ডাস চত্বরের সামনে মোদির কুশপুতুল পোড়ানোর চেষ্টা করলে হঠাৎ পেছন থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী কুশপুতুল কেড়ে নেন।

এ সময় জোটের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ডাবের খোসা, পাথর ছুড়ে মারেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে সেখানেই জোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয় মাইকে কথা বলা শুরু করলে ফের ছাত্রলীগের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী জোটের নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।

এর আগে দুপুরে মোদির আগমনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচিতে বাধা দেয় ছাত্রলীগ। দাহ করার আগেই মোদির কুশপুত্তলিকা কেড়ে নেয় তারা।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মোদি বিরোধী বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা। ছবি: নিউজবাংলা

ছাত্রফ্রন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের মিছিলে ছাত্রলীগ হটাৎ করে হামলা চালায়, আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। হামলায় ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের কয়েকজন নারী নেত্রীকে লাঞ্চনা করে তাদের চুল ধরে টেনে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় আমরা তাদের রক্ষা করতে গেলে আমাদেরও ছাত্রলীগ কর্মীরা হেলমেট, বসার বেঞ্চ দিয়ে পিঠিয়ে আহত করে।’

তিনি জানান, হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেঘমাল্লার বসু, ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাসির উদ্দীন প্রিন্সসহ জোটের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের অনেকেই বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আল কাদেরী জয় বলেন, ‘গণবিরোধী এবং ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মোদিকে দেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে আগমনের প্রতিরোধে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মক আহত করেছে।

‘রাষ্ট্রযন্ত্র দেশের নাগরিকের এভাবে জুলুম এবং অন্যায় করে মোদিকে দেশে আনছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে জানতে চাইলে কাদেরী জানান, সন্ধ্যায় তারা একটা মিছিল করতে পারে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের এক কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের হামলা। ছবি: নিউজবাংলা

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার রাজ, এস এম হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমন খান জীবন, খান মিলন হোসেন, জিয়া হল ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান শান্ত, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান, এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সাজুসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন।

এস এম হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিলন হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি হামলা করিনি। ডাসের সামনে আমি পানি খাচ্ছিলাম। এসময় মহানগর ছাত্রলীগের কিছু ছেলে তাদের ওপর পানি ছিটালে জোটের নেতারা আমাদের ওপর এসে হামলা করে। আমি অনেকক্ষণ ধরে ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। তবে আমি কোনো হামলা করিনি।’

ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে। ক্যাম্পাসে আমাদের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করছে। জোটের নেতারা তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলার সময় ইট পাটকেল ছুড়লে এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর