বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির সফর নির্বাচনি প্রচারের জন্য কি না: ফখরুল

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২১ ১৭:২০

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‌‘এখানে‌ কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে আসছেন নাকি পশ্চিমবাংলাতে যে নির্বাচন হচ্ছে, সেই নির্বাচনের প্রচারণা করতে আসছেন? পশ্চিমবাংলা, ভারতের পত্রিকা ও আমাদের দেশের পত্রিকায় সেই ধরনের ইঙ্গিতই আমরা পাচ্ছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালানোর জন্য কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানকে সোহেলকে দেখতে গিয়ে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় আহত হয়েছিলেন সোহেল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন মোদি।

তার এ সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ২৭ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া আট ধাপের বিধানসভা নির্বাচনের কোনো যোগসূত্র নেই বলে মঙ্গলবার নিজ বাসার ব্রিফিংয়ে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে মির্জা ফখরুল তা মনে করছেন না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‌‘এখানে‌ কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে আসছেন নাকি পশ্চিমবাংলাতে যে নির্বাচন হচ্ছে, সেই নির্বাচনের প্রচারণা করতে আসছেন? পশ্চিমবাংলা, ভারতের পত্রিকা ও আমাদের দেশের পত্রিকায় সেই ধরনের ইঙ্গিতই আমরা পাচ্ছি।

‘মূলত তার এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে, সেই সমস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করবেন যেগুলোতে তাদের অনুসারী রয়েছেন। তাদের পশ্চিমবাংলা যে ভোট রয়েছে, তার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। এটা পত্রিকায় লেখা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ সফরে মোদি যেসব জায়গায় যাবেন, তার একটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের রাজনীতির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ওড়াকান্দির নাম।

এ অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়া ‘মতুয়া’ নামে একটি হিন্দু সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় ভোট ব্যাংক।

মতুয়ারা তৃণমূলে ভোট দিয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই মতুয়া ভোটব্যাংককে কাছে টানতেই মোদির ওড়াকান্দি সফর।

‌‘আমাদের কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দিয়েছে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি মেহমানরা আসছে। এই কারণ দেখিয়ে আমাদের কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। মানুষের চলাচলে সম্পূর্ণ বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।

‘ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশী তিনটি বন্ধু দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এসে গেছেন।’

‌‘বন্ধু দেশ’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ আসবেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সবসময় দেশি-বিদেশি বন্ধুদের স্বাগত জানাই। সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা তাদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাব। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে সরকার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

‘সরকারের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অবস্থান নেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর কোনও অবস্থান নেই। শুধুমাত্র বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে দেখানো হচ্ছে; বলানো হচ্ছে উন্নয়নের লহরী বয়ে যাচ্ছে।’

‌‘সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হচ্ছে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‌‘বাংলাদেশের ৫০ বছর হয়েছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হারিয়ে ফেলেছি। মানুষের অধিকারগুলো হারিয়ে ফেলেছি। এখানে সরকার যে পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনা করছে, এটা কোনোমতোই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়।

‌‌‘তারা সংবিধানকে সংরক্ষণ করছে না। এমনকি আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করছে। আমরা চাই দেশে শান্তি থাকুক ও বিদেশিরা আসুক।’

তিনি বলেন, ‌‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে অভিন্ন নদীগুলো রয়েছে তার হিস্যা মীমাংসা হওয়া উচিত। সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। এটা অমানবিক। পৃথিবীর কোনও দেশে এটা আছে কি না জানি না।

‌‘সরকার বলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এত বন্ধুত্ব সম্পর্ক। অথচ এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন না।’

‌‘কানেকটিভিতে কী লাভ’

দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটিতে বাংলাদেশের কী লাভ হচ্ছে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে পানির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। ফেনীর পানিও তারা একতরফাভাবে নিয়ে গেছে।

‌‘আমরা এখনও প্রত্যাশা করি বাংলাদেশ সরকার আমাদের দাবিগুলোকে সঠিকভাবে ভারতের কাছে উপস্থাপন করে সমাধান করবেন।’

করোনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাদের (সরকার) নিয়তই ঠিক নেই। তাদের লক্ষ্য প্রত্যেকটি বিষয় থেকে দুর্নীতি করা।

‘ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা এসেছে। যারা এখন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, তারা প্রত্যকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।’

করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়ার পরও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস।

এ ছাড়া টিকা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. মোহাসীন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ অনেকে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার, ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ শাহ বাকি বিল্লাহ, ছাত্রদল নেতা শাকিল চৌধুরীসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর