বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২১ ১৫:২০

মামলার বাদী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মইনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। উনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া প্রতিটি সভায় উনি তার বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতা ঘোষক বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।

জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক বলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ২৫ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিচারিক হাকিমের আদালতে বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১(ক)/২৫(৩)২৯(২)/৩৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও সিলেট মোগলাবজার থানার রাইখাল গ্রামের মৃত আব্দুল শহিদের ছেলে মইনুল ইসলাম।

এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন সিলেট দক্ষিণ সুরমা ইউনিয়নের ও লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মালিক, লন্ডন প্রবাসী মো. কয়সর আহমেদ, শায়েস্থা চৌধুরী কুদ্দুস, মিসবাহুজ্জামান সুহেল, কামাল উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, মাহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন খোকন, আফজল হোসেন, আব্দুস সালাম, আফজল হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাসির আহমদ শাহিন, শাহ আখতার হোসাইন টুটুল, আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল হোসেন, মো. আবুল হোসেন, হেলাল নাসিমুজ্জামান, তাজবির চৌধুরী শিমুল, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, এমদাদ টিপু, ডা. মুজিবুর রহমান মুজিব, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল ও রির্সোটের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন আহমদ, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ মোতাহার ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির রেজা।

মামলার এজহারে বলা হয় বলেন, গত বছরের ১৬ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুম মিটিংয়ে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে বক্তব্য দেয়। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ রয়্যাল রিজেন্সি অডিটোরিয়াম, মেনর পার্ক লন্ডনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় মামলা আসামিরা একই দাবি করেন।

২০১৪ সালের ২৯ মে লন্ডনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য বিএপির আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাংবাদিক হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এই বছরের ২৪ আগস্ট বর্তমান সরকারকে অবৈধ ও শেখ হাসিনার পরিবারকে খুনি পরিবার বলেন অভিযুক্তরা। ১ সেপ্টেম্বর বিএপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঞ্চায়িত বলে দাবি করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনি বলে উল্লেখ করেন অভিযুক্তরা।

ওই বছরের ৫ মে যুক্তারাজ্য বিএনপির আয়োজনে বিল্পব ও সংহতি দিবস অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বাসঘাতক ও পাকবন্ধু বলা হয়।

মামলার বাদী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মইনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। উনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া প্রতিটি সভায় উনি তার বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতা ঘোষক বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। সেগুলো আবার তার ইউটিউভ চ্যানেলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। এ জন্য দেশের একজন নাগরিক হয়ে তারেক রহমানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি।’

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা অস্বীকার করে উনার পিতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষক ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করায় এই মামলা হয়েছে।

‘আদালত এই মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’

যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী তারেক রহমান মোট চারটি মামলায় দণ্ডিত।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের একটি আদালত তারেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির মামলায়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয়েছে তার মা বেগম খালেদা জিয়ারও।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরের বছর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি দেশে ফেরেননি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়ার সাজা হলে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

এ বিভাগের আরো খবর