সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। ওই হামলার প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারা দেশের বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেনে নেতারা।
সমাবেশে সংগঠনটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিমল মজুমদার বলেন, ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত একটি গণতান্ত্রিক দেশে একজন নাগরিক আরেকজন নাগরিকের সমালোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য এভাবে তার বাড়িতে, গ্রামে আক্রমণ করা হবে?
হেফাজত নেতা মামুনুলকে সমালোচনা করে ওই গ্রামের এক যুবকের ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে এ সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে মানুষ সমাবেশ করে হিন্দু নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে ও মন্দির ভেঙেছে। আমার দেশ যেহেতু নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করে না, সেই কারণে দুষ্টুচক্র একের পর এক এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে আর পার পেয়ে যাচ্ছে।’
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান বলেন, এই সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করে কিন্তু এই কি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কাজ? মুক্তিযুদ্ধের একটা লক্ষ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। কিন্তু দেশ অসাম্প্রদায়িক হয়েছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এ সময় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইকবালুল হক বলেন, ‘আপনারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনা করুন৷ অন্যথায় আমরা সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলব৷’
উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম বলেন, ‘আজ কথা ছিল আমরা আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করব৷ কিন্তু আজ আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে৷’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরিফ নূর, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ইকরাম হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।