বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মওদুদকে বিদায় জানালেন আইনজীবীরা

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ১০:৪০

বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় দফা জানাজা হবে মওদুদের।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম জানাজা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাগীব রউফ চৌধুরী, একেএম এহসানুর রহমানসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এবং সুপ্রিম কোর্টের অসংখ্য সাধারণ আইনজীবী জানাজায় অংশ নেন।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু অসুস্থতার কারণে জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা শেষে দ্বিতীয় জানাজার জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মওদুদের মরদেহ। সেখানে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা হবে।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসহাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করা মওদুদের নিথর দেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছায়।

তার মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আমানউল্লাহ আমান, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনসহ অনেক নেতা।

বিমানবন্দর থেকে মরদেহ রাত ৮টা ৫ মিনিটে গুলশানে তার নিজ বাসভবনে আনা হয়। গুলশান-২-এর ৮৪ নম্বর সড়কের ৫৪ বাড়িতে পৌঁছালে তার বড় বোন নাফিজা আহমদ মরদেহটি গ্রহণ করেন। এ সময় মওদুদের ভায়রা ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাতে মরদেহটি এভারকেয়ার হসপিটালের হিমঘরে রাখা হয়।

নয়াপল্টনের জানাজা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মওদুদ আহমদের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরে।

সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজমাঠে জানাজার পর নিজ বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজা হবে। পরে মওদুদ আহমদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে মওদুদকে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক মাসের চিকিৎসা শেষে ২৯ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন এই রাজনীতিক। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্যে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি নেন। পরে দেশে ফিরে যুক্ত হন আইন পেশায়। কবি জসীম উদ্‌দীনের জামাতা ব্যারিস্টার মওদুদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মপক্ষ সমর্থন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাকে প্রথম পোস্ট মাস্টার জেনারেল করা হয়। পরে দেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগ দেন মওদুদ। বিএনপি গঠনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জিয়া তাকে মন্ত্রী ও পরে উপপ্রধানমন্ত্রী করেছিলেন।

জিয়ার মৃত্যুর পর মওদুদ সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাত ধরেন। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন। এরশাদ সরকারের পতনের পরও জাতীয় পার্টিতেই ছিলেন মওদুদ। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনি বিএনপিতে ফেরেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত মওদুদ, আইন ও সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতা, বাংলাদেশ: শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ- প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের রাজনীতি ও সামরিক শাসন, এ স্টাডি অব দ্য ডেমোক্রেটিক রেজিমস, কারাগারে কেমন ছিলাম, বাংলাদেশ: ইমার্জেন্সি অ্যান্ড আফটারম্যাথ ২০০৭-২০০৮ তার উল্লেখযোগ্য বই।

এ বিভাগের আরো খবর