সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনএফ সেক্রেটারি জেনারেল ড. নজরুল ইসলাম আল-মারুফ।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান নাজিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনএফ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। আমরা এই ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কী দিতে পারলাম, আর কী দিতে পারলাম না- এগুলো এখন পর্যালোচনার সময়।
‘আমরা মনে করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে, কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মধ্য দিয়ে তার আদর্শকে উজ্জীবিত করা যাবে এবং তা পূর্ণতা পাবে।’
তিনি বলেন, ‘এই জন্য আমরা চাই জনকল্যাণের রাষ্ট্র এবং জনগণের গণতন্ত্র। এই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা যে লড়াই সংগ্রাম করছেন, তা পূর্ণতা পাক। রব্বুল আলামীন আমাদের শক্তি, সামর্থ্য দিক- আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিএনএফ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে জনগণের কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের ক্ষেত্রে একটি ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আশা করি, সরকারপ্রধান, আওয়ামী লীগপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং প্যানডেমিক সিচুয়েশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিরাকল ঘটনা ঘটিয়েছেন যে, পাঁচজন রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের দেশ সফর করবেন।’
বিএনএফ সভাপতি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি আসবেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- ‘‘তিস্তা চুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার।'' আমরা চাইব তিস্তা চুক্তিসহ সব চুক্তি যেন যথাযথ সময়ে হয় এবং আমরা আশা করব, মোদির সময়েই যেন হয়। এখনই সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। এখনই সময় সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।’