জিয়াউর রহমানের অধিকার ও খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মানিকগঞ্জের ঘিওরের পাটুরিয়ায় মঙ্গলবার সকালে দলটির মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) এক বৈঠকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা প্রস্তাব আকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
জামুকার ৭২তম ওই সভায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘…সরকার এটা করতে পারে না। এটা যে স্বাধীনতার কনসেপ্ট, আশা-আকাঙ্ক্ষা, সে কনসেপ্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই। এখন যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা বেআইনিভাবে বসে আছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখানে গণতান্ত্রিক যে আন্দোলন…সেই আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে।
‘কোনো রাষ্ট্রের বা অন্য কাউকে বলে কোনো লাভ হবে না। দেশের মানুষকে জেগে উঠতে হবে তার অধিকার পাওয়ার জন্যে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘…বিদেশ থেকে মেহমানরা আসবেন ভালো কথা। আমরাও মেহমানদের সম্মান দেখাতে চাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরাও পালন করছি। তার অর্থ এই নয় যে, শুধু একটি মাত্র দল বা একটি সরকার নিজেদের প্রয়োজনে তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অধিকার হরণ করবে। তারা আমাদের সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ-স্থগিত করে দিয়েছে।
‘আজকে সময় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষকে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের আন্দোলনের পথ, সংগ্রামের পথে এগিয়ে আসতে হবে এবং এই চরম কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সরকার তাকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
কবর জিয়ারতের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আবদুস সালাম, প্রয়াত মহাসচিবের বড় ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মেজো ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুসহ বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।