জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সব ধরনের কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘরোয়াভাবে কর্মসূচি পালনের আদেশ দেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বসুরহাট পৌরসভা বিভিন্ন কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু জনসমাগম হবে এমন আয়োজন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সোমবার রাতে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আবদুল কাদের মির্জাকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠির কপি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৭ মার্চ র্যালি, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় নতুন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ বসুরহাট পৌর ভবন এলাকায় মেয়র কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংষর্ঘ হয়। এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ আহত হন অন্তত ২৫ জন, গুলিবিদ্ধ হন ১৪ জন। পরে মারা যান গুলিবিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন।
বসুরহাটে সংঘর্ষে নিহত মিজানুর রহমানের অনুসারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও শ্রমিক লীগের চর ফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন। ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনার আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও মির্জা গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন স্থানীয় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাইরে না করে ঘরোয়াভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া সোমবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনসমাগম এড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন অনুষ্ঠান আয়োজনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।