বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির ঢাকার বাইরে যাওয়া সৌভাগ্য: মোমেন

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ১৯:২৬

‘এটা তো আমাদের সৌভাগ্য। একজন সরকার প্রধান, আমাদের ঢাকা শহরের বাইরেও যাচ্ছেন। তিনি যাবেন একটা মন্দিরে, ওটা একটা পূণ্য মন্দির, তীর্থস্থান, সেখানে যাবেন সাতক্ষীরা। খুব অল্প সময়ের জন্য। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন।… এরপর তিনি যাবেন ওড়াকান্দি।… সেখানে ওনি প্রার্থনা করবেন। প্রার্থনা করার পরে কিছু স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। একটা ধর্মীয় এলাকায় তিনি এই কাজগুলো তিনি করবেন।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সফরে যাওয়ার ইচ্ছাকে সৌভাগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ব্রিফ করেন তিনি।

এ সময় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আয়োজনে বিদেশি অতিথিদের সম্পর্কে জানান মন্ত্রী। এই সংবাদ সংম্মেলনে প্রকাশ পায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আসছেন না ঢাকায়।

মোদি এবার বাংলাদেশে এসে যাচ্ছেন গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে, যাবেন সাতক্ষীরাতেও। এর মধ্যে ওড়াকান্দিতে পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত মতুয়া সম্প্রদায়ের বংশধরেরা বসবাস করেন। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে মতুয়াদের মন জয়ের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মোদির গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সফরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা পশ্চিমবঙ্গের ভোটের কৌশল হিসেবেও দেখছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা তো আমাদের সৌভাগ্য। একজন সরকার প্রধান, আমাদের ঢাকা শহরের বাইরেও যাচ্ছেন। তিনি যাবেন একটা মন্দিরে, ওটা একটা পূণ্য মন্দির, তীর্থস্থান, সেখানে যাবেন সাতক্ষীরা। খুব অল্প সময়ের জন্য। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন।… এরপর তিনি যাবেন ওড়াকান্দি।… সেখানে ওনি প্রার্থনা করবেন। প্রার্থনা করার পরে কিছু স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। একটা ধর্মীয় এলাকায় তিনি এই কাজগুলো তিনি করবেন।

‘সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের কে কী বলল, দিস ইজ… ভারতীয় সরকার ইচ্ছে প্রকশ করেছেন যে তীর্থস্থান, একটু পুরনো তীর্থস্থান, একটা সম্প্রদায়ের যিনি প্রবর্তক ছিলেন তারই এখানে জন্মস্থান। সেখানে তিনি সম্মান প্রদর্শন করবেন।’

গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় দুইটি মন্দিরে প্রার্থনা শেষে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ও করবেন মোদি।

মোদির সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই এবং কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

২৬ মার্চ মোদিকে বরণ করতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই ভারতীয় সরকার প্রধানকে দেয়া হবে গার্ড অব অনার।

এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ওই দিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।

ওই সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী ঘুরে দেখবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন মোদি। এরপর দুই দেশের শীর্ষনেতাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এসময় কিছু সমঝোতা স্মারক সই ও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন দুই দেশের সরকার প্রধান। এরপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নিয়ে ওই দিনে রাতেই দিল্লির পথ ধরবেন মোদি।

অন্য চার দেশের সঙ্গেও চুক্তিতে আগ্রহ

ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন ঢাকায়।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, সবগুলো দেশের সঙ্গেই কিছু না কিছু চুক্তি হবে।

মালদ্বীপ ও নেপালের সঙ্গে চারটি এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আরও বেশি বিষয় নিয়ে সমঝোতা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে।

জনদুর্ভোগ মেনে নেয়ার আহ্বান

করোনা সংক্রমণের সময়ে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আগমণকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে রাস্তাঘাটে কিছুটা ভোগান্তি মেনে নেয়ার আহ্বানও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এ রকম সময় তো সবসময় আসে না। এই ধরণের ঐতিহাসিক দিন সবসময় আসে না। এজন্য আমি আশা করব আমাদের জনগণ সেটা বহন করবে।’

তিনি জানান, অনুষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাখা হয়েছে যাতে সাধারণ জন-জীবনে যাতে বড় ধরণের অসুবিধা তৈরি না হয়।

কে কবে আসছেন

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ ঢাকা সফর করবেন ১৭ থেকে ১৮ মার্চ। তার সঙ্গে আসবেন তার সহধর্মীনি ও ফার্স্টলেডি ফাজনা আহমেদসহ ২৭ জনের একটি দল।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ঢাকা সফর করবেন ১৯ থেকে ২০ মার্চ। তার সঙ্গে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ২৮ জনের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবেন।

নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ঢাকা সফরে আসছেন ২২ মার্চ। তার সঙ্গে আসছেন তিনি দুদিন ঢাকায় অবস্থান করবেন।

২৩ মার্চে ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং। তিনি ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে সরকারপ্রধান আসবেন, তিনি যাওয়ার পরপরই আমরা একটা ব্রিফিং করব। কী অর্জন হলো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে।’

এ বিভাগের আরো খবর