রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার ধসের ঘটনায় দেশের উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের রচিত ‘কুপি বাতির গণতন্ত্র’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন। বইটি প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন তো উন্নয়নের গণতন্ত্র, আজকে আসার সময় দেখছিলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পোস্টার- ‘‘উন্নয়নের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র।’' এটার ব্যাখ্যা অনেকে অন্যভাবে দিতে পারেন, সেটা বলব না।’
‘তবে আজকে একটি ঘটনা ঘটেছে আপনারা খবর পেয়েছেন? এয়ারপোর্টের সামনে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গার্ডার ভেঙে পড়েছে। একজন চীনা নাগরিকসহ চারজন আহত হয়েছে। চিন্তা করেন জনগণের অর্থ নিয়ে এ সমস্ত তৈরি করা হচ্ছে, সেটা হঠাৎ করে ভেঙে পড়ছে। তাহলে তার গুণগত মান কি রক্ষা হচ্ছে?'
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে কথাটা বারবার বলছি, এই মেগা প্রজেক্ট দিয়ে এই উন্নয়নের ধোঁয়া তুলে, দেশটাকে একেবারে ফোকলা করে দিচ্ছেন। কাদের পয়সা নিচ্ছেন?
‘শনিবারের একটা খবরে বলা হয়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে দ্রুতগামী ট্রেন হবে। একটা চীনা কোম্পানি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। আর আমাদের পকেট থেকে, প্রতিটি মুহূর্তে চাল, ডাল, লবণ কিনতে গেলে, ভ্যাট দিয়ে সব কেটে নিয়ে যাওয়া হবে। গোটা বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে এখন তাই হচ্ছে? উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট কেটে তারা তাদের পকেট ভারী করছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। মওদুদ আহমদের সুস্থতার জন্য এ সময় সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
এ সময় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘শুনছি জিয়াউর রহমানের কবরটা নাকি সরায়ে দিবে। দিতেই পারে। সরকারের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জিয়াউর রহমানের কবর এখান থেকে সরানো হলে কত লাখ কবর, কত কোটি কবর কোথায় হবে তার ঠিকানা আমরা দিতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক জহির তৃপ্তি উপস্থিত ছিলেন।