স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন। তাদের দাবি, মোদিকে অতিথি করা মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
যদি তিনি আসেন তবে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে রুখে দেয়ার কথা বলেছে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনটি।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে ‘মোদিকে লাল কার্ড’ শিরোনামে কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে ছাত্র ফেডারেশন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির অন্যতম হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা। আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করছি, আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি করা হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে সরকার মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে মৌলিক চেতনা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ সুজন বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তার আগমনকে রুখে দেয়ার চেষ্টা করব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে কাদের অতিথি করা হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা অভিযোগ তুলে ধরে সীমান্তে ফেলানিসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে জাহিদ সুজন বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে নিশ্চিত করেছেন আসছে সফরে তিস্তাসহ নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো চুক্তি নিয়েই কথা বলবেন না। সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে।’
এ জন্য সরকার পতনের দাবিতে দেশের মানুষকে রাজপথে আসার আহ্বান জানায় সংগঠনটির নেতারা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি দুই দিনের সফরে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া যাবেন কাশিয়ানী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ওড়াকান্দি। সেখানে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে যাবেন তিনি।